পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ‘মালালার মতো সাহসী হও। সব সময় বাবা-মায়ের ইচ্ছেনুযায়ী কাজ করতে হবে এমন কোনও কথা নেই’, একটি মামলায় মহিলাদের উদ্দেশে এমনই পরামর্শ দিল কেরলা হাইকোর্ট।
হেবিয়াস কর্পাস মামলায়(কোনও ব্যক্তি যদি মনে করে তাকে অন্যায় ভাবে কারারুদ্ধ করে রাখা হয়েছে, তা হলে সে হেবিয়াস কর্পাস-এর জন্য আবেদন করতে পারে।) আবেদনকারী ২১ বছর বয়সী এক তরুণীকে এই পরামর্শ দিলেন বিচারপতি আলেকজান্ডার থমাস।
বিচারপতি ওই তরুণীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, জীবনের পথে মালালার মতো সাহসী হও। সব সময় বাবা-মা যেমন চাইছেন তেমনই করতে হবে এমন কোনও কথা নেই।
শুক্রবার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি আলেকজান্ডার থমাস নোবেলজয়ী মালালা ইউসুফজাই-এর নাম সাহসী হিসেবে তুলে ধরে বলেন, মালালার মতো হও। সাহসের সঙ্গে জীবনযুদ্ধে ঝাঁপ দাও।
বিচারপতি আলেকজান্ডার থমাস এবং সোফি থমাসের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চের সামনে আসা হেবিয়াস কর্পাস মামলায় একজন ব্যক্তি অভিযোগ তোলেন, তার স্ত্রী ও তাদের ১১ মাসের সন্তানকে শ্বশুর-শাশুড়ি বেআইনিভাবে আটকে রেখেছেন। আদালতে জুমের মাধ্যমে এই শুনানিতে অংশ নেন হিজাব পরিহিতা স্ত্রী। তিনি বলেন, তিনি তার সন্তানকে নিয়ে স্বামীর সঙ্গে থাকতে চান।
বিচারপতি আলেকজান্ডার থমাসের প্রশ্নের উত্তরে ওই স্ত্রী জানিয়েছেন, তার বাবা-মা কখনই তাদের এই বিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পক্ষে ছিলেন না। তবে এবার তিনি এই ব্যাপারে রুখে দাঁড়িয়েছেন। নিজের ইচ্ছেকেই গুরুত্ব দিতে চাইছেন।
এই প্রসঙ্গেই মালালার নাম সামনে রেখে বিচারপতি আলেকজান্ডার থমাস বিচারপতি সোফি থমাসকে প্রশ্ন করে বলেন, যে তরুণীটি নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন, তাকেও কি এই রকম দেখতে ছিল?
বিচারপতি আলেকজান্ডার থমাস বলেন, স্বামী ও স্ত্রী’, উভয় মামলাকারীই তারা একসঙ্গে থাকবেন বলে আদালতে জানিয়েছেন। তাদের ম্যারেজ কাউন্সেলিং সেশনের রিপোর্টও আদালতে জমা পড়েছে। এর পরেই এদিনের মতো আদালত মুলতুবি হয়ে যায়।
শুনানির শেষে বিচারপতি আলেকজান্ডার থমাস আবেদনকারী মহিলাকে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। দ্বাদশ ক্লাসের পড়া সম্পূর্ণ করার কথা বলেন। বিচারপতি থমাস বলেন, ‘তুমি কেন ইন্দিরা গান্ধি মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় বা অন্য কোনও জায়গায় থেকে করেস্পন্ডেস কোর্স সম্পূর্ণ করছ না?
আবেদনকারী মহিলা জানান, ‘আমি পড়তে চাই। আমার এমবিবিএস ডিগ্রি পেতে চাই। আমি জর্জিয়াতে পড়তে চেয়েছিলাম। আমার ভর্তি সহ অন্যান্য পদ্ধতি সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে।