পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: দিল্লি বিধানসভায় আস্থা ভোটে জয়ী হলেন আপ সুপ্রিমো, মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। শুক্রবারই আস্থা ভোটের প্রস্তাব দেন কেজরি। শনিবার আম আদমি পার্টির ৬২ জন বিধায়কের মধ্যে ৫৪ জন বিধায়কের ভোট পেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে আপ। ধ্বনি ভোটে গৃহীত হয় ভোট। আর সেই ভোটে প্রত্যাশামতোই জয়ী হলেন কেজরিওয়াল। তবে ৮ জন বিজেপি বিধায়কদের মধ্যে ৭ বিজেপি বিধায়ক এদিন আস্থা ভোটে থাকেননি। বিধানসভার অধিবেশন সোমবার ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে।
এদিন জেতার পরেই বিজেপির দিকে খোলাখুলি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে কেজরি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেন, বিজেপি যদি ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে জয়ীও হয় ২০২৯-এর লোকসভা ভোটে আম আদমি পার্টি দেশকে বিজেপির হাত থেকে মুক্ত করবে। এটাই কেজরিওয়ালের গ্যরান্টি”। তাঁরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়া সত্ত্বেও কেন আস্থা ভোট? এর উত্তরে কেজরিওয়ালের মন্তব্য, ‘কক্ষে আমরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। তবুও আস্থা ভোট প্রয়োজন ছিল, কারণ বিজেপি আপ বিধায়কদের ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে।”
কেজরিওয়াল এদিন আস্থা প্রস্তাবের ভাষণে বলেন,’ মনীশ সিসোদিয়া, সঞ্জয় সিং, জৈনের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়েছিল। কিন্তু কিছুই পাওয়া যায়নি। তাও তারা জেলে। মানুষের ভালোবাসাই আমাদের সম্পদ। দেশে দুটি সরকার আছে। একটি কেন্দ্রীয় সরকার, যারা কোনও কাজ করেনি। আর দিল্লিতে আমাদের সরকার’।
কেন্দ্রীয় সরকারকে তীব্র আক্রমণ করে কেজরিওয়াল বলেন, ‘বিভিন্ন রাজ্যে দল ভাঙা হচ্ছে এবং মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে সরকার ফেলে দেওয়ার কাজ করে চলেছে বিজেপি। আমাদের সঙ্গে কী করা হচ্ছে দেশের প্রতিটি মানুষ তার সাক্ষী থেকেছে। মানুষ বোকা নয়, কেজরিওয়ালের পিছনে ইডি-সিবিআই লাগিয়ে জেলে পুরতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। আসলে বিজেপি সরকার এই সব করছে তার কারণ হল গেরুয়া শিবিরের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ আম আদমি পার্টি।
আপ সুপ্রিমো বিজেপির কৌশলকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেন যে, তারা তাকে গ্রেফতার করতে পারে, তবে তাঁর মতাদর্শকে শেষ করে দিতে পারবে না। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর আরও অভিযোগ, বিজেপি তার সরকারের কাজে বাধা তৈরি করছে। তিনি বিজেপির সমালোচনা করে বলেন, তারা নিজেদের রামভক্ত বলে দাবি করে, কিন্তু তারা আমাদের হাসপাতালে গরিব মানুষের জন্য ওষুধ বন্ধ করে দিয়েছে। ভগবান রাম কি গরিবদের জন্য ওষুধ বন্ধ করার পক্ষে ছিলেন?”