পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ হুনুমান মন্দির দর্শণে গিয়েছেন বহুবার।। সযত্নে সংখ্যালঘু ইস্যু এবং সংখ্যালঘুদের কাছ থেকে দূরত্ব বজায় রেখেছেন। নরম হিন্দুত্ব ও উন্নয়ন প্রচারকে হাতিয়ার করেছেন। কিন্তু তারপরও তাঁর একরে পর এক মন্ত্রীকে জেলে ঢুকতে হয়েছে। মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন আগেই জেলে গিয়েছিলেন, এবার তিহার এক নম্বর সেলে আপাতত ঠিকানা হল মনীশ সিসোদিয়ার।
এমতাবস্থায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ঠিক করেছেন তিনি ধ্যান করবেন। দেশকে বাঁচাতে তিনি টানা আট ঘন্টা ধ্যান করবেন বলে মঙ্গলবারই জানিয়েছিলেন আপ সুপ্রিম। সেই মত বুধবার সকাল ১০ থেকে ধ্যান শুরু করলেন কেজরিওয়াল। এদিন আপ ট্যুইটারে কেজরিওয়ালের ছবি শেয়ার করে। তাতে লেখা হয়েছে আজ কেজরিওয়ালজি দেশের জন্য মেডিটেশন করেছেন। মেডিটেশন শুরু করার আগে রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধির স্মৃতি সৌধে শ্রদ্ধা জানান কেজরিওয়াল।
মঙ্গলবার কেজরিওয়াল বলেছিলেন যারাই ভালো কাজ করছে তাদেরই গ্রেফতার করা হচ্ছে। এদিন বিপশ্যনা শুরু করেন কেজরিওয়াল। এটি ভারতের অতিপ্রাচীন ধ্যান পদ্ধতি। এই বিদ্যাটি প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে গৌতম বুদ্ধ পুনরায় আবিষ্কার করেন। মন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া এবং সত্যেন্দ্র জৈন জেলবন্দি। সে কারণেই তিনি এদিন হোলি উজ্জাপন বাদ দিয়েছেন।
মঙ্গলবার কেজরিওয়াল বলেন, মনীশ ও সতেন্দ্রকে জেলে ঢোকানো হয়েছে, অথচ আদানির বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তিনি আরও বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি এমনই যে, যারা ভালো কাজ করছে, মানুষকে ভালো শিক্ষা দিচ্ছে, ভালো স্বাস্থ্য পরিষেবা দিচ্ছে তাদের প্রধানমন্ত্রী জেলে ঢোকাচ্ছেন। যারা ডাকাতি করছে, তিনি তাদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। এটা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এর থেকে পরিত্রানের জন্যেই আমি ধ্যান করব। দেশের জন্য প্রার্থনা করব। আপনারাও যদি মনে করেন প্রধানমন্ত্রী যা করছেন তা ভুল করছেন, তা দেশের জন্য মঙ্গলজনক নয়, তাহলে হোলি উজ্জাপনের পর সময় বের করে আপনারা দেশের জন্য ধ্যান করুন।