তেলেঙ্গানা, ২৬ নভেম্বর: বিজেপির বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলো এতদিন শোনা যাচ্ছিল এবার তেমন অভিযোগ শোনা গেল শাহের বিরুদ্ধে। কংগ্রেস ও বিআরএসের বিরুদ্ধে করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন কংগ্রেস চাইছে কেসিআরকে মুখ্যমন্ত্রী বানাতে, আর বিআরএস চাইছে রাহুলকে প্রধানমন্ত্রী করতে। রবিবার তেলেঙ্গানার মাকথালের রাজনৈতিক প্রচারসভা থেকে শাহ বলেন, কংগ্রেস বিধায়করা আসলে চিনা পণ্যের মতো। দরকার পড়লে কংগ্রেসের বিধায়করা বিআরএসে যোগ দিয়ে চন্দ্রশেখর রাওকে মুখ্যমন্ত্রী করে দেবেন। শাহের অভিযোগ, বিআরএস এবং কংগ্রেসের মধ্যে একটা অলিখিত চুক্তি হয়েছে। দুই দল নিজেদের মধ্যে আঁতাঁত করে চলছে।
শাহের এই অভিযোগ শুনে অনেকেই বলেছেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন অভিযোগ হাস্যকর। যারা এতদিন অন্যের দলে সিঁধ কাটে, তারা হঠাৎ অন্য কথা বললে তা হাস্যকর তো মনে হবেই। এতদিন ঘোড়া কেনাবেচার অভিযোগ ছিল পদ্মপার্টির বিরুদ্ধেই। একটি নির্বাচিত সরকার কীভাবে ফেলে দিতে হয় তা শিখেছেন শাহরা। মহারাষ্ট্র তার জ্বলন্ত প্রমাণ। এনসিপি ও শিবসেনার ফাটল ধরানোর অভিযোগ রয়েছে বিজেপিóর বিরুদ্ধেই। এনসিপি নেতা অজিত পাওয়ারের বিরুদ্ধে লাগাতার দুর্নীতির অভিযোগ করেছিল বিজেপি। অথচ বর্তমানে মহারাষ্ট্রে তাদের জোট সরকারের উপমুখ্যমন্ত্রী তিনিই। তাই শাহের এই মন্তব্যকে গুরুত্ব দিতে চাইছেন না রাজনীতির কারবারিরা।
সব থেকে বেশি দল ভাঙার অভিযোগ রয়েছে অমিত শাহের বিরুদ্ধেই। যিনি বলছেন কংগ্রেস নেতারা বিআরএসে যোগ দেবেন, তারাই বলে বলে অন্য দল থেকে বিধায়ক ভাঙিয়ে এনেছে। তাকে নিজেদের রাজনৈতিক কৃত্তিত্ব বলে প্রচার করেছেন বিজেপির খুচরো নেতারা। কোন দলের কোন নেতাকে কখন ভাঙাতে হবে তা নাকি অমিত শাহের থেকে কেউ ভালো বোঝেন না। তার অন্যতম এই রাজনৈতিক চাতুর্যের জন্য গেরুয়া শিবেরের অনেকেই তাঁকে চাণক্য বলে প্রচার করেন। এখন তিনিই বলছেন কংগ্রেস ও বিআরএসের মধ্যে একটি ডিল হয়েছে তখন অনেকেই বলেছেন ডিল বিজেপি করলে বৈধ্য আর বাকিরা করলে তা অন্যায় শাহের এই মন্তব্য শুনে অনেক বিজেপি নেতাও বুঝে গেছেন আর যায় হোক এই নির্বাচনে তাদের কোনও জায়গা নেই। এই ভোট তাহলে বিআরএস এবং কংগ্রেসেরই।