পুবের কলম প্রতিবেদক: এবারও ২১ জুলাইয়ের সভায় হবে জমজমাট ভিড়। এ বছর ভিড় আরও বেশি হবে বলে মনে করছে তৃণমূল কংগ্রেসের হাইকমাণ্ড। আর সেই ভিড় সামাল দিতে আগাম প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে রাজ্যজুড়ে। এদিকে বিভিন্ন জেলা থেকে আসা মানুষদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, তার আগে থেকে কলকাতার একাধিক জায়গায় নেতাকর্মীদের থাকার ব্যবস্থা থাকছে বলেও জানা গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে।
সভায় এসে অথবা আসার পথে বিভিন্ন জেলা থেকে আগত দলীয়কর্মীদের অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। বিভিন্ন জেলার কর্মীরা যাতে কোনও অসুবিধায় না পড়েন, তার জন্য আগাম ব্যবস্থা নিচ্ছে রাজ্য সরকার।
স্বাস্থ্য ভবনের এক কর্তা জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে একটি টিম তৈরি করা হচ্ছে। সেই টিমে থাকবেন একাধিক হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা। পাশাপাশি প্যারামেডিক্যাল কোর্সের কর্মীদেরও ওই ক্যাম্পের মধ্যে রাখা হবে।
২১ জুলাই শহিদ দিবসের অনুষ্ঠানের আগে জাতীয় সড়ক ও রাজ্যের সব বড় সড়ক লাগোয়া হাসপাতালগুলোতে মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে। সেই সঙ্গে ব্লাড ব্যাঙ্কগুলিতে পর্যাপ্ত রক্তের মজুত রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফলে এবারও তৃণমূলের ঝুলিতে গিয়েছে অধিকাংশ ভোট। সব জেলা পরিষদেই বিপুল ব্যবধানে জিতেছে জোড়াফুল। এবার ২১ জুলাইয়ের সমাবেশে অনিবার্যভাবে সেই ‘সাফল্যের’ উদযাপন হবে। অনেকের মতে, ওই সভায় যোগ দিতে যাওয়ার সময় তৃণমূল কর্মীরা খুবই উজ্জীবিত থাকেন বলে জানা যাচ্ছে।
শহিদ দিবসের অনুষ্ঠান ষোলো আনা রাজনৈতিক কর্মসূচি। এই অনুষ্ঠান শাসক দলের হলেও এর সঙ্গে সরকারের সরাসরি যোগ নেই।
অবশ্য স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশে কোথাও ‘তৃণমূল কংগ্রেস’ সভার বিষয়ে উল্লেখ নেই। শুধু বলা হয়েছে ‘শহিদ দিবস’।
এদিকে এই নির্দেশিকা প্রসঙ্গে রাজ্যের হেলথ সার্ভিসের ডিরেক্টর জেনারেল জানিয়েছেন, ১৯ জুলাই থেকে প্রস্তুতি শুরু হবে। ইতিমধ্যে রাজ্যের সমস্ত হাপসাতালগুলিকে সেই নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। সাধারণ মানুষের যাতে এই বিষয়ে সমস্যায় পড়তে না হয়, তার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এই টিমে কারা থাকবেন, কীভাবে চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান করা হবে, এই প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের বক্তব্য, হাসপাতালগুলিতে মেডিকেল টিমে এক জন মেডিকেল অফিসার এবং প্যারা মেডিকাল স্টাফ রাখতে হবে। তা ছাড়া পর্যাপ্ত রক্তও মজুত রাখতে হবে। সেই সঙ্গে প্রয়োজনীয় মেডিসিন রা’া হবে। কারণ, বিপুল ভিড় হতে পারে শহিদ দিবসের অনুষ্ঠানে।
তৃণমূলের দাবি, এবার যেহেতু পঞ্চায়েত ভোটের পর পরই শহিদ দিবসের অনুষ্ঠান হচ্ছে, তাই প্রচুর লোকের জমায়েত হবে। প্রায় ৪০ হাজার গ্রাম পঞ্চায়েতে জিতেছে তৃণমূল। প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে পাঁচ জন করে এলেই ২ লক্ষ বেশি মানুষের জমায়েত হবে বলে আশা করছে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বরা।