পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: ২০০৮ সালের ৩০ নভেম্বর হত্যা করা হয় সাংবাদিক সৌম্যা বিশ্বনাথনকে। এই হত্যা মামলার দোষীদের শাস্তির সিদ্ধান্ত ৭ নভেম্বর পর্যন্ত স্থগিত করেছে দিল্লির সাকেত আদালত। দোষীদের শাস্তির বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক, হলফনামা ও প্রতিবেদন নিয়ে বিতর্ক হবে। এর আগে, গত ১৮ অক্টোবর এই হত্যা মামলায় ৫ আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল আদালত।
রবি কাপুর, অমিত শুক্লা, অজয় কুমার এবং বালজিৎ মালিককে হত্যার জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয় এবং পঞ্চম অভিযুক্ত অজয় শেঠিকে আইপিসি (অসাধুভাবে চুরি করা সম্পত্তি গ্রহণ) ধারা ৪১১-এর অধীনে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সৌম্যাকে গুলি করে হত্যা করার ১৫ বছর পর এই মামলায় আসামিদের সাজা হবে। জানা গিয়েছে, এই মামলায় সিদ্ধান্ত পিছিয়ে যাওয়ার কারণ হয়ে দাঁড়ায় পিএসআর। অতিরিক্ত দায়রা জজ বিচারপতি রবীন্দ্র কুমার পান্ডে বলেন, প্রবেশনারি অফিসার পাঁচজন দোষীর হলফনামা সহ প্রাক সাজা প্রতিবেদন (পিএসআর) সহ কিছু নথি দাখিল করেননি। এই কারণে দোষীদের শাস্তি নিয়ে বিতর্ক হতে পারেনি। আগামী ৭ নভেম্বর মামলাটি প্রস্তুত করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
সৌম্যা বিশ্বনাথন হত্যা মামলায় ইতিমধ্যেই অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। আদালতের বাইরে সৌম্যার মা মামলার তদন্তকারী পুলিশ সদস্যকে জড়িয়ে ধরেন।
পুলিশের দাবি, খুনের পিছনে ডাকাতির উদ্দেশ্য ছিল। খুনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়া পাঁচ ব্যক্তি ২০০৯ সালের মার্চ মাস থেকে হেফাজতে রয়েছে। আদালতের রায়ের পর সৌম্যার মা বলেন, আমরা দোষীদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দাবি করছি, আমরা যেভাবে ভুগছি, তাদেরও একই রকম কষ্ট ভোগ করতে হবে।
প্রসঙ্গত, ২৫ বছর বয়সী সৌম্যা বিশ্বনাথন হেডলাইন টুডে-এর সাংবাদিক ছিলেন। ২০০৮ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর দিল্লির বসন্ত বিহারে মধ্যরাতে তাঁকে খুন করা হয়। তিনি তাঁর গাড়িতে অফিস থেকে বাড়ি ফিরছিলেন।
পুলিশের মতে, জিগিশা ঘোষ হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারের মাধ্যমে সৌম্যা হত্যার ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। ২০১৭ সালে, ট্রায়াল কোর্ট জিগিশা ঘোষ হত্যা মামলায় রবি কাপুর এবং অমিত শুক্লাকে মৃত্যুদণ্ড এবং বলজিৎ মালিককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল। যাইহোক, হাইকোর্ট রবি কাপুর এবং অমিত শুক্লার মৃত্যুদণ্ডকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে পরিণত করে এবং জিগিশা হত্যা মামলায় বলজিৎ মালিকের যাবজ্জীবন সাজা বহাল রাখে।