পুবের কলম প্রতিবেদক : বকেয়া ডিএর দাবিতে শহিদ মিনারে ধর্নায় বসেছেন রাজ্যসরকারি কর্মীদের. সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সদস্যরা। এই নিয়ে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তিনি দায় চাপিয়েছেন পূর্বতন বাম সরকারের ওপরেই। এদিন তিনি বলেন, “বাম সরকারও সঠিক ভাবে ডিএ দিতে পারেনি। তখন কি ভোটের ডিউটি করব না বলেছিলেন? অনশনে বসেছিলেন?” আমরা সরকারি কর্মীদের পাশে আছি। যখন বাম সরকার ডি এ দিতে পারতোনা তখন কি অনশনে বসতেন? মঙ্গলবার রাজ্যসরকারি কর্মীদের একাংশ বকেয়া ডিএ না পেলে পঞ্চায়েত ভোটে কাজ করতে না চাওয়া প্রসঙ্গে এমনটাই জানান রাজ্যের মন্ত্রী ।
বকেয়া ডিএ না পেলে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোন কাজ করবেন না, এই মর্মে প্রচ্ছন্ন হুঁশিয়ারি দিয়ে জাতীয় ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিচ্ছেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সদস্যরা। রাজ্যসরকারকে দুদিন সময় দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মঞ্চের সদস্যরা। হাতে মাত্র দুদিন এই সময়ের মধ্যে যদি বকেয়া ডিএ না মেলে তবে ভোটে কাজ নয়।
শহিদমিনার চত্বরে গত ২৭ জানুয়ারি থেকে চলছে রাজ্যসরকারি কর্মীসংগঠনের যৌথমঞ্চের ধর্না কর্মসূচি। বিগত পাঁচদিন ধরে চলছে অনশন কর্মসূচিও। ইতিমধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন একাধিক সরকারি কর্মী। সোমবার রাতে অসুস্থ হয়ে পড়েন সঞ্জিত চক্রবর্তী নামে এক কর্মী, তাঁকে বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর মঙ্গলবার সকালে অসুস্থ হন অনিরুদ্ধ ভট্টাচার্য নামে আরও একজন সরকারি কর্মী।
শুধুমাত্র বকেয়া ডিএ নয় এর পাশাপাশি রয়েছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে শূন্যপদে স্বচ্ছ নিয়োগের দাবিও। লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন রাজ্যসরকারি কর্মীরা। সোমবার তাঁরা ডাকদিয়েছিলেন কর্মবিরতির। অফিস, আদালত, স্কুল সবজায়গাতেই তা পালন করা হয় ।
সংগ্রামি যৌথমঞ্চের রাজ্য কনভেনার ভাস্কর ঘোষ সংবাদমাধ্যমকে সাফ জানিয়েছেন যদি তাঁদের দাবি না মানা হয় তাহলে তাঁরা নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশ নেবেননা। ভোটকর্মী হিসেবে তাঁদের যে দায়িত্ব পালন করতে হয় তা বয়কট করবেন তাঁরা। লাগাতার কর্মবিরতিরও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।২৭৬))