পুবের কলম প্রতিবেদক: দীর্ঘ আইনি জটিলতা ও টালবাহানার পর আগামী ১১ ডিসেম্বর প্রাথমিকের টেট। এ নিয়ে বহু মানুষ আশার আলো দেখছেন। আগের টেট পরীক্ষা এবং নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে বহু মামলায় এখন হাইকোর্ট এবং সুপ্রিমকোর্টে বিচারাধীন। এমতাবস্থায় আগামী ১১ ডিসেম্বরের টেটে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে তৎপর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এ নিয়ে পর্ষদের তরফের ইতিমধ্যে বিশদে গাইডলাইনও প্রকাশ করা হয়েছে। নিয়োগ বিষয়ে মামলাগুলি আদালতে বিচারাধীন হলেও ২০১৪ এবং ২০১৭-র টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা তাঁদের নিয়োগের দাবিতে অনড়। এ নিয়ে বুধবার ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের জমায়েত ঘিরে এক্সাইড মোড়, ক্যামাক স্ট্রিট এবং রবীন্দ্রসদন চত্বরে উত্তেজনা ছড়ায়।
অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে এলগিন রোড, আশুতোষ মুখার্জি রোডও। ফলে এইসব রাস্তা দিয়ে যান চলাচল স্তব্ধ হয়ে যায়। চাকরিতে নিয়োগের দাবিতে টেট উত্তীর্ণ আন্দোলনকারীরা রাস্তা অবরুদ্ধ করে স্লোগান দিতে থাকে।
পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি, হাতাহাতি বেধে যায়। অনেকে পুলিশের প্রিজন-ভ্যানের নিচে শুয়ে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তাঁদেরকে সেখান থেকে বের করে আনতে পুলিশকে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়। ধস্তাধস্তির জেরে বিক্ষোভরত চাকরিপ্রার্থীদের বেশ কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। অবশেষে পুলিশ বহু চাকরিপ্রার্থীকে প্রিজন ভ্যানে তুলে নিয়ে যায়। বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারীকে বাস থামিয়ে তাতেও তুলে দেওয়া হয়।
বুধবার সকালেই ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ অফিস অভিযান ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। সল্টলেকের করুণাময়ীতে জমায়েতের ডাক দিয়েছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। বিক্ষোভকারীদের সেক্টর ফাইভ মেট্রো স্টেশনে আটকে দেয় পুলিশ। এদিন চাকরিপ্রার্থীদের অভিযান ঠেকাতে সল্টলেকের বিভিন্ন মেট্রো স্টেশন ও রাস্তার মোড়ে মোড়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। শিয়ালদা স্টেশনে বিক্ষোভকারী সন্দেহে বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদও করে পুলিশ।
পুলিশি ধরপাকড়ের মাঝেই কয়েকশো চাকরিপ্রার্থী ক্যামাক স্ট্রিটের দিকে দৌড়তে শুরু করেন। সেখানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসের সামনে বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। চাকরিপ্রার্থীরা দাবি করেন, বেশ কিছুদিন আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজস্ব প্রতিনিধি পাঠিয়ে তাঁদেরকে চাকরির আশ্বাস দিয়েছিলেন। চাকরি নিয়ে সেই খবরাখবর পেতেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসের সামনে এসেছেন তাঁরা। কিছুক্ষণের মধ্যে সেখানে পৌঁছায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসের গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়।
দীর্ঘক্ষণ ধস্তাধস্তির পর আন্দোলনকারীদের সেখান থেকে হটিয়ে দেয় পুলিশ।