পুবের কলম, ওয়েব ডেস্কঃ লোকসভা ভোটের মাঝেই জামিন পেলেন অভিযুক্ত বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। মঙ্গলবার জীবনকৃষ্ণের জামিন মঞ্জুর করল সুপ্রিম কোর্ট। তাঁর হয়ে এ দিন সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করেন আইনজীবী মুকুল রোহাতগি ও অনির্বাণ গুহ ঠাকুরতা। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত জীবনকৃষ্ণ সাহা। টাকা নিয়ে সরকারি চাকরি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ১৭ এপ্রিল মুর্শিদাবাদের বড়ঞার বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। একটানা প্রায় তিন ধরে তাঁর বাড়ি-অফিসে তল্লাশি অভিযান চলে। সেই সঙ্গে তাঁকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হয়। অভিযোগ, তাঁর বাড়িতে তল্লাশির সময় নিজের মোবাইল ফোন পুকুরে ছুঁড়ে ফেলেছিলেন জীবনকৃষ্ণ। যা নিয়ে তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল। সেই মোবাইল উদ্ধার করতে কালঘাম ছোটে তদন্তকারীদের। দু’দিন ধরে পাম্প চালিয়ে পুকুর থেকে জল ছেঁচে তোলা হয়। কাদা ঘেঁটে উদ্ধার করা হয় দু’টি মোবাইল।
কলকাতা হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেন বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক। সেই আবেদনে সাড়া দেয়নি আদালাত। তার পর জামিন চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। একাধিকবার তাঁর জামিনের আর্জির শুনানি পিছিয়ে যায়। তবে এ দিনের শুনানিতে জামিনের আর্জির বিরোধিতা করে সিবিআইয়ের আইনজীবী। তিনি আদালতে বলেন, পুকুরে জীবনকৃষ্ণ ফোন ফেলেছিলেন। চাকরিপ্রার্থীরা টাকা ফেরত দেওয়া নিয়ে জীবনকৃষ্ণ সাহা এবং তাঁদের মধ্যে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় ছিল পুলিশ।
যদিও শেষমেশ জীবনকৃষ্ণকে জামিন দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। তবে জামিন পেলেও এখনই নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র বড়ঞায় তিনি ঢুকতে পারবেন না। গতকালই বহরমপুর কেন্দ্রে লোকসভা নির্বাচন মিটেছে। বড়ঞা বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রেই অন্তর্গত একটি বিধানসভা কেন্দ্র। ভোটের পরের দিনেই জামিনে মুক্ত জীবনকৃষ্ণ সাহা।