শুভজিৎ দেবনাথ, গয়েরকাটা: মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে রাজস্থান থেকে চুরি যাওয়া প্রায় দশ লক্ষ টাকার সোনার গয়না ও নগদ টাকা উদ্ধার হল বানারহাট থানার অন্তর্গত নাথুয়া থেকে। শনিবার বানারহাট থানা ও রাজস্থান পুলিশের শিকার থানার পুলিশের যৌথ অভিযানে চুরি যাওয়া সামগ্রী উদ্ধার হয়। উদ্ধার হয় একটি মোবাইল ফোনও। ঘটনায় অসমের শোনিতপুর এলাকার বাসিন্দা বিশাল ঠাকুর ও রিঙ্কু দেবী ঠাকুরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এরা সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী।
পুলিশ সূত্রে খবর, এই দুজন রাজস্থানে শিকার এলাকার বাসিন্দা মহাদেবী সেওয়াদার বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করতেন। গত মাসের ২৬ তারিখ বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে এই চুরির ঘটনাটি ঘটে। চুরির পর ওই বাড়ি থেকে পালিয়ে যান বিশাল ঠাকুর ও রিঙ্কুদেবী ঠাকুর। প্রায় দশ লক্ষ টাকার সোনার গয়না ও নগদ দুই লাখ টাকা নিয়ে চম্পট দেয় তারা।
রাজস্থানেই ওই একই মালিকের বাড়িতে কাজ করতেন নাথুয়ার বাসিন্দা বসন্ত মাঝি। বিশাল ঠাকুর ও রিঙ্কুদেবী ঠাকুর বসন্ত মাঝি কে জানায় যে তারা তাকে তার নাথুয়ার বাড়িতে পৌঁছে দেবে তবে তার বাড়িতে বিশাল ও রিঙ্কু কে কিছুদিন থাকতে দিতে হবে।
সেই শর্তে রাজি সত্তরউর্দ্ধ বসন্ত। এরপর বিশাল ও রিঙ্কু বসন্তের নাথুয়ার বাড়িতে এসে থাকতে শুরু করে। তবে চুরির সামগ্রীর সঙ্গে তারা মালিকের একটি দামী মোবাইল ও নিয়ে এসেছিল। ১ মার্চ বাড়ির মালিক মহাদেবী সেওয়াদা শিকার থানায় এই দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।
এরপর মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে চুরির তদন্ত শুরু করে শিকার থানার পুলিশ। সেই সূত্রেই তারা বানারহাটে এসে পৌছায়। এদিকে শনিবার মালিকের বাড়ি থেকে চুরি করা সেই মোবাইল ফোনে বসন্ত মাঝির নামের সিম লাগাতেই পুলিশের কাছে সেই তথ্য চলে আসে।
এরপর বসন্ত মাঝির ঠিকানা খুঁজে বের করে তার বাড়ি থেকে চুরি যাওয়া সামগ্রী সহ দুই ব্যক্তিকে আটক করে বানারহাট থানার নাথুয়া এলাকার ভিলেজ পুলিশ শ্যামল রায় ও সিভিক ভলেন্টিয়ার রামকৃষ্ণ চক্রবর্তী। এরপর ঘটনাস্থলে দুই থানার পুলিশ পৌঁছে তাদের গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে।
বানারহাট থানার আই সি শান্তনু সরকার বলেন, ‘ নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে রাজস্থান পুলিশ ও বানারহাট পুলিশের যৌথ অভিযানে চুরি যাওয়া গয়না ও নগদ সহ দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। বাজেয়াপ্ত করা জিনিশ গুলো নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে রাজস্থান পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হবে। ধৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।