পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ইসলামোফোবিয়া বা ইসলামভীতি যেকোনও গণতন্ত্রের জন্য ‘প্রধান হুমকি’। রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদের মঞ্চে এই মন্তব্য করেছেন তুর্কি দূত সেদাত ওনাল। তিনি আরও বলেন, ইউরোপে পবিত্র কুরআন ও মসজিদ অবমাননার ঘটনাও ক্রমাগত বাড়ছে। শুক্রবার নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদে ইসলামোফোবিয়া প্রতিরোধে আন্তর্জাতিক দিবস উদযাপনের আগে এক আলোচনাসভার আয়োজন করে পাকিস্তান। সেই সভায় তুর্কি দূত সেদাত ওনাল বলেন, ‘ইসলামফোবিয়া একটি বাস্তব এবং ক্রমবর্ধমান হুমকি।’
তাঁর কথায়, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বসবাসকারী মুসলিমরা ক্রমাগত ‘পদ্ধতিগতভাবে ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, ঘৃণামূলক অপরাধ এবং ইসলামফোবিয়ার বিভিন্ন রকমভেদের মুখোমুখি হচ্ছেন।’ রাষ্ট্রসংঘে নিযুক্ত তুর্কি দূতের কথায়, ‘ইসলামোফোবিয়া গণতন্ত্রের জন্য প্রধান এক হুমকি। ইসলামোফোবিয়া থেকেই বর্ণবাদ ও বিদেশাতঙ্ক আরও তীব্র হচ্ছে।
এর ফলে পবিত্র কুরআন ও মসজিদ অবমাননা চলছে, ধর্ম প্রকাশের স্বাধীনতাও লঙ্ঘিত হচ্ছে।’ ইউরোপের মাটিতে সাম্প্রতিক কুরআন বিরোধী প্রচার ও কুরআন অবমাননার বিষয়ে সেদাত ওনাল বলেন, ‘ইসলাম বিরোধীরা এ কাজের মাধ্যমে ঘৃণা, অসহিষ্ণুতা, বিদেশাতঙ্ক এবং বৈষম্যের স্পষ্ট প্রদর্শন করে চলেছে।’
তুরস্কের দূত বলেন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতার অজুহাতে এই জঘন্য কাজের অনুমতি দেওয়া কখনই ন্যায়সঙ্গত হতে পারে না।’ রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে তিনি ইসলামোফোবিয়ার বিরুদ্ধে সকলকে কঠোর অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার সমুন্নত রাখার কথা বলেন।
এরই পাশাপাশি ওনালের মতে, ‘সম্মিলিতভাবে’ যে অন্যান্য পদক্ষেপগুলি নেওয়া দরকার তার মধ্যে রয়েছে ইসলামি নাগরিক মূল্যবোধের প্রচার এবং জাতিগত উৎস বা ধর্মীয় বিশ্বাসের ভিত্তিতে অসহিষ্ণুতা, উসকানি এবং হয়রানির নিন্দা করা।’ তিনি বলেন, ‘আমরা যদি কথা ও কাজে ঐক্য ও সংহতি আনতে পারি তাহলে আমরা ফারাক গড়তে পারব।’