পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: নিজের বিস্ময়কর মেধা দিয়েই ১১ বছরের সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়া আদায় করে নিল নবম শ্রেণিতে পড়ার অনুমতি। কানপুরের ১১ বছরের বিস্ময় বালক যশবর্ধন সিংকে শুক্রবার উত্তর প্রদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের নবম শ্রেণীতে পঠনপাঠনের জন্য এই বিশেষ অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বিরল মেধার অধিকারি এই কিশোর। যশবর্ধনের আইকিউ বা ইন্টেলিজেন্ট কোসেন্ট হচ্ছে ১২৯। আই কিউ টেস্ট নেওয়ার পরেই যশবন্তকে ইউপি বোর্ডের এই অনুমতি দেওয়া হয়েছে। যশবর্ধনের মেধা মুগ্ধ করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকেও ।যশবর্ধন তার পরিবারের সঙ্গে সেপ্টেম্বরে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীও এই পড়ুয়ার উচ্চতর বুদ্ধিমত্তার প্রশংসা করেছিলেন। ১১ বছুরে এই পড়ুয়া আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, ইতিহাস, ভূগোল সব কিছু নিয়ে নির্ভুল তথ্য সহ ঘন্টার পর ঘণ্টা আলোচনা করে যেতে পারে। যশবর্ধনের অত্যাশ্চার্য মেধায় মেধা দেশ ছাড়িয়ে বিদেশের মাটিতেও ছড়িয়ে পড়েছে। লন্ডন-ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান হার্ভার্ড রেকর্ডস যশবর্ধনকে বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ ইতিহাসবিদ হিসেবেও স্থান দিয়েছে। বর্তমানে যশবর্ধন স্নাতক সম্পূর্ণ করা চাকুরী প্রার্থীদের সিভিলসার্ভিসের কোচিং দেয়। যশবর্ধনের বাবা অংশুমান সিং এর কথায় ছেলের এই মেধা তাঁদের পরিবারের সকলকে গর্বিত করেছে। যশবর্ধনের এই মেধাকে স্বীকৃতি দিতে তার নামে প্রকাশ করা হয়েছে ডাকটিকিটও। এই বিস্ময় বালক ২০২৪ সালে মাত্র ১৩ বছর বয়সে দশম শ্রেণির বোর্ডের পরীক্ষায় বসার জন্য আবেদন জানিয়েছে। তবে, নিয়ম অনুসারে, ইউপি বোর্ডের ১০ শ্রেণির পরীক্ষায় বসতে হলে একজন শিক্ষার্থীর বয়স কমপক্ষে ১৪ বছর হতে হবে। যশবর্ধনের বাবা অংশুমান সিং একজন ফিজিওথেরাপিস্ট তার মা বেসিক এডুকেশন ডিপার্টমেন্টে শিক্ষক হিসেবে কাজ করেন।