পুবের কলম, ওয়েব ডেস্ক: ২৬৭৭ কিলোমিটার দূর থেকে চাকরি দেওয়ার নাম করে তাদেরকে উড়িয়ে আনা হয়েছিল ভারতে। কাওকে ট্যুরিস্ট আবার কাউকে মেডিক্যাল ভিসা সহ দেশে আনা হয়। কিন্তু বিমানবন্দরের বাইরে পা রাখার পরই কেড়ে নেওয়া হয় ভিসা ও পাসপোর্ট। ভারতের মাটিতে পা দিয়ে তারা জানতে পারেন, তাদের ভবিষ্যত এখন নিষিদ্ধপল্লীর কোনো এক অন্ধকার গলি। পালানোর চেষ্টা করলে চলে অমানুষিক শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। হাত বদলে বেশ কয়েকবার বিক্রি করা হয় উজবেকিস্তান থেকে আসা ৭ জন মহিলাকে।
এদের কাউকে সরাসরি ভারতে আনা হয়েছিল, কাউকে আনা হয় নেপাল হয়ে ঘুর পথে। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ও একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ওই ৭ জনকে উদ্ধার করে দিল্লির একটি হোমে রাখার ব্যবস্থা করে। গত ২৮ ও ২৯ অক্টোবর ওই হোম থেকেই নিখোঁজ হয় তাদের মধ্যে ৫ জন। পুলিশের নাকের ডগায় কিভাবে হোম থেকে রাতারাতি তাঁরা নিখোঁজ হয়ে গেলেন, এই প্রশ্নের উত্তর পেতে বুধবার দিল্লি পুলিশকে নোটিশ ধরিয়েছে দিল্লি মহিলা কমিশন।
উজবেকিস্তান থেকে চাকরির নামে পাচার হয়ে যাওয়া ওই ৭ মহিলা দিল্লির আন্তর্জাতিক নারী পাচার ও সেক্স র্যাকেটের কথা জানান পুলিশকে। হোমে থাকাকালীন এক ব্যক্তি ফোন করে তাদের অপহরণ করার হুমকিও দেয়। হোম কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে বারবার পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। এরপরই তারা নিখোঁজ হয়ে যায়। দিল্লি কমিশন ফর ওম্যেন প্রধান স্বাতী মালিওয়াল বলেছেন, নির্যাতিতারা ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে তিন জনকে গ্রেফতার করেছে। ৭ জন অভিযুক্ত, এখনও অধরা।
নির্যাতিতাদের পাসপোর্ট ও নিঁখোজ ৫ জন মহিলাকে যথাশীঘ্র সম্ভব কমিশনের সামনে হাজির করার জন্য দিল্লি পুলিশকে নোটিশ দিয়েছে কমিশন। আন্তর্জাতিক সেক্স র্যাকেটের সন্ধান পেয়েও দিল্লি পুলিশ এই গ্যাং এর সবাইকে ধরতে পারেনি ফলে বিস্ময় প্রকাশ করেছে মহিলা কমিশন। উল্লেখ্য, দিল্লি পুলিশ সরাসরি কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনে।