পুবের কলম প্রতিবেদক: শহরকে জঞ্জাল মুক্ত করতে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে কলকাতা পুরসভা। দেখা হয়েছে দুধরনের বিন। কিন্তু তারপরেও দেখা গিয়েছে অনিয়ম। এই অনিয়ম রুখতে এবার নাগরিকদেরই দায়িত্ব দিল কলকাতা পুরসভা। কেউ যেখানে সেখানে আবর্জনা ফেললেই আপনি সেই ছবি তুলে পাঠাতে পারেন সরাসরি মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিমের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে। আপনার অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ফাইন করবে পুরসভা। সেক্ষেত্রে ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা গুনতে হতে পারে ওই ব্যক্তিকে। শুধু তাই নয়, প্রয়োজন মনে করলে মিউনিসিপ্যাল কোর্টেও তোলা হতে পারে অভিযুক্তকে।
বর্জ পদার্থকে পুনঃব্যবহারযোগ্য করে তুলে তা কাজে লাগানো হয়েছে। এই প্রক্রিয়া আরও সহজতর করে তুলতে উৎস থেকে জঞ্জাল পৃথকীকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পুর কর্তৃপক্ষ। সেক্ষত্রে বাড়ি থেকে আবর্জনা সংগ্রহ করার সময়ই বাছাই করে নেওয়া হচ্ছে।
ময়লা পৃথকীকরণ করার জন্য প্রত্যেক বাড়িতে দুই ধরণের বাতলি দেওয়া শুরু হয়েছে। সবুজ বালতিতে পচনশীল বর্জ ও নীল বালতিতে অপচনশীল বর্জ ফেলতে হবে। এরপর আবর্জনার ধরণ অনুযায়ী তা রিসাইকিলিংয়ের জন্য আলাদা আলাদা জায়গায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ইতিমধ্যে এ বিষয়ে প্রচারও সেরে ফেলেছে পুর কর্তৃপক্ষ। কিন্তু দেখা গিয়েছে অনেকেই নিয়ম মানছে না। এদিকে শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখার নেপথ্যে নাগরিক সচেতনতাই একমাত্র হাতিয়ার হিসেবে মনে করছে পুর কর্তৃপক্ষ।
এ প্রসঙ্গে কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ (জঞ্জাল অপসারণ বিভাগ) সুব্রত মজুমদার জানান, যত্রতত্র জঞ্জাল আইনত নিষিদ্ধ। সেক্ষেত্রে পুর আইন অনুযায়ী, ৫০ থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ফাইন হতে পারে। ইতিমধ্যেই এই অপরাধের জন্য কলকাতা পুরসভার তরফে ১ হাজার ২৮৬ জনকে ফাইন করা হয়েছে।
কলকাতা পুরসভার জঞ্জাল অপসারণ বিভাগের এক কর্তা জানান, এতদিন পর্যন্ত ইন্সপেকশনে গিয়ে কেউ অনিয়মের অভিযোগ আনলে সেই ভিত্তিতে ফাইন করা হত। এবার নাগরিকরা মেয়রের হোয়াটসঅ্যাপে ছবি পাঠালেই সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ করা হবে। সেক্ষেত্রে স্পট ফাইন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।