পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: রাষ্ট্রসঙ্ঘের জনসংখ্যা বিভাগের সর্বশেষ প্রতিবেদনে প্রকাশ, আগামী ৭৮ বছরে কমপক্ষে ৪১ কোটি জনসংখ্যা হারাতে চলেছে ভারত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের দাবি- এর একমাত্র কারণ ভারতের প্রজনন হার কমে যাওয়ার কারণেই জনসংখ্যা ও জনঘনত্বও ক্রমে কমবে।
বর্তমানে ভারতের প্রজনন হার মহিলা প্রতি ১.৭৬ জন। অর্থাৎ, প্রতি মহিলা পিছু ১.৭৬ জন শিশুর জন্ম হচ্ছে। ২০৩২ সালে এই প্রজনন হার কমে ১.৩৯-এ দাঁড়াবে বলে অনুমান করছেন বিজ্ঞানীরা। একইভাবে কমতে কমতে ২০৫২ সালে প্রজনন হার হবে ১.২৮। ২০৮২ সালে ১.২ এবং ২১০০ সালে তা আরও কমে গিয়ে দাঁড়াবে মহিলা প্রতি ১.১৯-এ।
রাষ্ট্রসঙ্ঘের জনসংখ্যা বিভাগের সর্বশেষ প্রতিবেদনে প্রকাশ, ২০২২ সালে ভারতের জনসংখ্যা প্রায় ১৪১.২ কোটি। ২১০০ সালে তা কমে ১০০.৩ কোটিতে নেমে আসবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। ফলে, আসন্ন বছরগুলোতে ভারতের জনসংখ্যার ঘনত্বও উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে। ভারত এবং চিনের জনসংখ্যা বর্তমানে প্রায় সমান। তবে জনঘনত্বের ক্ষেত্রে দুই দেশের বিশাল পার্থক্য রয়েছে। ভারতে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে গড়ে ৪৭৬ জন মানুষ বাস করেন। অন্যদিকে, চিনে প্রতি বর্গ কিলোমিটারের গড় জনসংখ্যা মাত্র ১৪৮ জন। ২১০০ সাল নাগাদ, ভারতের জনঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৩৩৫ জনে নেমে আসবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
ভারতের জনঘনত্বের এই পতন সামগ্রিকভাবে বিশ্বের জনঘনত্বের পতনের থেকে অনেকটাই বেশি হবে বলেই মনে করছেন গবেষকরা। গবেষকদের মতে, কোনও দেশের জনসংখ্যার বৃদ্ধি নেতিবাচক হয়ে গেলে, সেই দেশের জ্ঞান এবং জীবনযাত্রার মানও স্থবির হয়ে যায়। ধীরে ধীরে অবলুপ্তির দিকে এগিয়ে যায় ওই জনগোষ্ঠী।