পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: লিঙ্গ সমতার দিক দিয়ে ১৪৬টি দেশের মধ্যে ভারতের অবস্থা তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। লিঙ্গ সমতার জন্য ভারত ১৩৫ নম্বর স্থান পেয়েছে, যা অস্বাস্থ্যকর, পিছিয়ে পড়া দেশ বলে উল্লেখ করেছে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম।
গত বছরের থেকে এবছর পাঁচটি বিষয়ে উন্নতিতে ভালো ফল করার পরেও ভারত ১৩৫ নম্বর স্থান পেয়ে তালিকায় সবচেয়ে শেষের দিকে রয়েছে।
জেনেভায় প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম এর বার্ষিক জেন্ডার গ্যাপ রিপোর্ট ২০২২ অনুসারে আইসল্যান্ড বিশ্বের সবচেয়ে লিঙ্গ সমতার দেশ হিসাবে তার স্থান ধরে রেখেছে, তারপরে ফিনল্যান্ড, নরওয়ে, নিউজিল্যান্ড এবং সুইডেন রয়েছে। ভারতের পিছনের সারিতে রয়েছে আরও ১১টি দেশ। এর মধ্যে রয়েছে আফগানিস্তান, পাকিস্তান, কঙ্গো, ইরান ও চাদ।
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম সতর্ক করে দিয়ে জানিয়েছে, লিঙ্গ বৈষম্যের জন্য জীবনযাত্রার সংকট বিশ্বব্যাপি মেয়েদের জীবনে আরও বেশি করে আঘাত আনবে বলেই মনে করা হচ্ছে। এই ব্যবধান বন্ধ করতে আরও ১৩২ বছর সময় লাগবে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে করোনার কারণে লিঙ্গ বৈষম্য আরও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম-এর লিঙ্গ বৈষম্য ভারতে সপ্তম সর্বোচ্চ রেকর্ড ছুঁয়েছে। ক্রমাগত খারাপ কর্মক্ষমতা ভারতকে ক্রমশ শেষের সারিতে নিয়ে চলেছে।
২০২১ সালের পর ভারত নিজেকে উল্লেখযোগ্য স্থানে নিয়ে গিয়েছিল। ট্রেকনিক্যাল উন্নতি ঘটেছিল। মহিলাদের মধ্যে উর্ধতন আধিকারিক পদে ১৪.৬ শতাংশ থেকে ১৭.৬ শতাংশ উন্নীত হয়েছে। পেশাগত ও প্রযুক্তিগত কর্মী হিসেবে মহিলা কর্মীর সংখ্যা ২৯.২ শতাংশ থেকে বেড়ে ৩২.৯ শতাংশ হয়েছে। তবে রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে, সমীক্ষা অনুযায়ী যেখানে ভারত তুলনামূলকভাবে ৪৮ তম স্থানে রয়েছে। কারণ বিগত ৫০ বছর ধরে মহিলারা রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে ক্ষমতায় থাকার জন্য ক্রমবর্ধমান সংখ্যা দেখিয়েছে।
স্বাস্থ্য এবং বেঁচে থাকার উপ-সূচকে, ভারত ১৪৬ তম স্থানে সর্বনিম্ন স্থান পেয়েছে। ভারত সহ আর চারটি দেশের লিঙ্গ বৈষম্য পাঁচ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে সেই দেশগুলি হল কাতার, পাকিস্তান, আজারবাইজান ও চিন।