পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: : বিশ্বের মধ্যে ‘ক্যানসার রাজধানী’ হয়েছে উঠছে ভারত। এমনই আতঙ্কের চিত্র সামনে এসেছে। অ্যাপোলো হাসপাতালের হেলথ অফ নেশন রিপোর্ট অনুযায়ী এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। দেশের মধ্যে প্রায় এক তৃতীয় মানুষ প্রাক-ডায়াবেটিস, প্রাক উচ্চরক্তচাপ ও অন্যান্য অবসাদের শিকার।
শুক্রবার প্রকাশিত ভারতের একটি সাম্প্রতিক স্বাস্থ্য প্রতিবেদনে দেশব্যাপী অসংক্রামক রোগের (এনসিডি) একটি উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বৃদ্ধি প্রকাশ করা হয়েছে। সেই তথ্য অনুযায়ী, দেশে ক্যানসার মারণরোগ দ্রুততার সঙ্গে বৃদ্ধি পাচ্ছে। অ্যাপোলো হাসপাতালের রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস-২০২৪ এ প্রায় তিনজন ভারতীয়ের মধ্যে একজন প্রাক ডায়াবেটিক, তিনজনের মধ্যে দুইজন প্রি-হাইপারটেনসিভ, ও দশজনের মধ্যে একজন অবসাদে ভুগছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে অসংক্রামক রোগের মধ্যে ক্যানসার, ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন, কার্ডিওভাসকুলার রোগ, মানসিক স্বাস্থ্য সব কিছুই দেশের স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করছে। যা উদ্বেগের বিষয়।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, তরুণ বয়সেই অনেক সময় নানাধরনের মানসিক ব্যাধির কারণে প্রাক-ডায়াবেটিস, প্রাক-উচ্চ রক্তচাপ শরীরে বাসা বাঁধছে। ঝুঁকি ঠেকাতে নিয়মিত রক্তচাপ পরিমাপ করা, বিএমআই দিকে লক্ষ্য রেখে কার্ডিয়াক অসুস্থতা আটকানো যেতে পারে। ভারতের মধ্যে প্রধানত মহিলাদের মধ্যে স্তন, জরায়ু এবং ডিম্বাশয় সহ পুরুষদের মধ্যে ফুসফুস, মুখ এবং প্রোস্টেটের ক্যানসার লক্ষ্য করা যায়। তবে ক্যানসার নির্ণয়ের গড় বয়স অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতে অনেকই কম। এমন অবস্থায় সত্ত্বেও ভারতে ক্যানসার স্ক্রিনিং অনেক কম বলে আক্ষেপ বেসরকারি ওই সংস্থার।
উল্লেখ্য, গোটা বিশ্বেই অত্যন্ত দ্রুতগতিতে বাড়ছে ক্যানসার। ২০৫০ সালে ক্যানসার আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রতি বছর ৩৫ মিলিয়ন বা ৩.৫ কোটি’তে পৌঁছতে পারে। অন্যদিকে গত দশকের পরিসংখ্যান করে বিজ্ঞানীরা বলছেন, ভারতেও এই গুরুতর এবং মারাত্মক রোগের ঘটনা বছরের পর বছর দ্রুত বাড়ছে। বিশ্বের বহু দেশের তুলনায় ভারতে এই সংক্রমণ অনেক বেশি। সঠিকভাবে রোগ নির্ণয় হচ্ছে না, ফলে দ্রুতগতিতে বাড়ছে। চিকিৎসকরা বলছেন, দিনের পর দিন এক জায়গায় বসে অনেকক্ষণ ধরে কাজ করা, শারীরিক কসরৎ থেকে কায়িক পরিশ্রম না করা, খাওয়া-দাওয়া বেহিসেবি ক্যানসার আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক পরিমাণে বাড়িয়ে দেয়। তবে এক্ষেত্রে কিছু ক্ষেত্রে জেনেটিক বা পরিবেশগত ঝুঁকিও অন্যতম কারণ।