পুবের কলম প্রতিবেদক: বর্হিবিভাগ থেকে চিকিৎসক ভর্তি। সব মিলিয়ে এখন সরকারি হাসপাতালের প্রতি আস্থা বেড়েছে সাধারণ মানুষের। গ্রামীন হাসপাতাল, ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, মহকুমা, জেলা প্রভৃতি হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজগুলিতে আগের থেকে স্বাস্থ্য পরিষেবা উন্নত হয়েছে। সরকারি হাসপাতালের আউটডোরগুলিতে এখন উপচে পড়া ভিড়।
জেলা হাসপাতালগুলিতে চাপ কমাতে এখন গ্রামীন হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলির উপর জোর দিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।
স্বাস্থ্য অধিকর্তা নারায়ণ স্বরূপ নিগম জানিয়েছেন, সরকারি হাসপাতালগুলি এখন অতীতের রেকর্ড ভাঙছে। আগের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে এসএসকেএম, হাসপাতাল। রাজ্যের অন্যতম সুপার স্পেশ্যালিটি এসএসকেএম হাসপাতালের আউটডোর বিভাগে উৎসবের সময়ও রেকর্ড সংখ্যক রোগীকে দেখলেন এসএসকেএম হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। এই ঘটনায় বেশ কিছু প্রশ্নও উঠেছে। ১৭ অক্টোবর এসএসকেএম হাসপাতালের আউটডোরে প্রায় ১৭ হাজার মানুষ চিকিৎসা করাতে এসেছিলেন। এই সংখ্যা অতীতের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে।
স্বাধীনোত্তর পর্বে পশ্চিমবঙ্গে এটি একটি রেকর্ড, এবং অবশ্যই এসএসকেএম হাসপাতালের দীর্ঘ ইতিহাসে এটি রেকর্ড হিসেবে নথিভুক্ত থাকবে।
স্বাস্থ্য দফতরের এক শীর্ষ কর্তা জানিয়েছেন, শুধু এসএসকেএম নয় রাজ্যের সমস্ত হাসপাতালের আউটডোরগুলিতে এখন ভিড় বাড়ছে। হাসপাতালের চিকিৎসকরাও সামাল দিতে পারছে না।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, দফতরের হিসেব অনুযায়ী, ১৭ অক্টোবর মেডিসিন বিভাগে নতুন ও পুরনো মিলিয়ে প্রায় ১৮০০ রোগী এসেছিলেন। সার্জারিতে আসেন প্রায় ৭০০, গাইনিতে ৮৫০, চর্মরোগ বিভাগে ১১৫০, অর্থোপেডিকে ১২২০, ইএনটিতে প্রায় ৯০০ রোগী আসেন। নিউরোমেডিসিন ও নিউরোসার্জারিতে এসেছিলেন প্রায় ১৭০০ ও ৭০০ রোগী।
এসএসকেএম হাসপাতালে এখন প্রায় ২৫০০ কর্মী এবং ১২০০ শিক্ষক-চিকিৎসক, মেডিক্যাল অফিসার ও জুনিয়র ডাক্তার আছেন। তাঁদের মধ্যে ৩৯টি আউটডোর পরিচালনায় সোম থেকে শনি কমবেশি প্রায় ৩০০ জন চিকিৎসক ও কর্মী থাকেন।
মেডিসিন, সার্জারি, গাইনি, ইএনটি, অর্থো, শিশু মিলিয়ে প্রায় ৩৯টি মতো আউটডোর আছে রাজ্যের এই এক নম্বর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে। ছুটির দিন বাদ দিলে বছরের যে কোনও সপ্তাহের সোম থেকে বুধবার রোগীর সংখ্যা হয় গড়ে ১২ হাজারের মতো। তবে অন্যান্য দিনে এই সংখ্যা একটু কম বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।
এনআরএস, ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ, মেডিক্যাল কলেজ, আরজি কর সহ বিভিন্ন হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
এদিকে হাসপাতালে রোগীর টিকিট পরিষেবা অনলাইনে করার ক্ষেত্রে সুবিধা হচ্ছে। তবে গ্রামীন হাসপাতালগুলিতেও ঠাসা ভিড়। সেই হাসপাতালেও যাতে অনলাইন ও অফলাই টিকিট পরিষেবা চালু করা যায় সেই উদ্যোগ নেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য দফতরের কাছে আর্জি জানিয়েছেন রোগী পরিজনরা।