পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: ডবল ইঞ্জিনের সরকার ঠিক কেমন হয়, তার আরও এক নজির সামনে এল। অভাবের তাড়নায় দেড় দিনের সন্তানকে বিক্রি করতে বাধ্য হলেন অসহায় পিতা। ত্রিপুরায় অভাব অনটন কোন পর্যায়ে পৌঁছেছে তা বুঝতে তেলিয়ামুড়া মহকুমার বংশীপাড়ার এই ঘটনাই যথেষ্ট।
মাত্র ৩০ হাজার টাকায় সদ্যোজাত কন্যাকে বাবা বিক্রি করে দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
ত্রিপুরাকে মডেল রাজ্য হিসাবে গড়ে তোলা হচ্ছে। এর জন্য কেন্দ্রীয় সরকার দেদার অর্থ বরাদ্দ দিচ্ছে বলে মিডিয়ায় প্রচার করে চলেছেন শাসক বিজেপির নেতা মন্ত্রীরা। বাস্তব কিন্তু সম্পূর্ণ ভিন্ন। ২০১৮ সালের পর থেকে সর্বক্ষেত্রে রাজ্যের অবনতি দেখে রাজ্যবাসী এখন বলছেন, ডবল ইঞ্জিনের সরকার তো বটেই তবে ইঞ্জিন দু’টি পিছন দিকে লাগানো। যা রাজ্যকে দ্রুত অনুন্নয়নের দিকে ঠেলে নিয়ে যাচ্ছে।
বিজেপি জোট সরকার গঠনের পর থেকে গ্রামেগঞ্জে গরীব মানুষ সঙ্কটে পড়েন। কাজ ও খাদ্যের সঙ্কট মোচনে সরকারের কোনও উদ্যোগই দেখা যাচ্ছে না। ১০০ দিনের কাজ পাচ্ছেন না গ্রামের শ্রমজীবী মানুষ। ফলে অভাবের তাড়নায় চুরি এবং আত্মহত্যার ঘটনাও বাড়ছে।
রাজ্যে কাজ না পেয়ে বহু মানুষ বর্হিরাজ্যে পাড়ি দিয়েছেন। ঘটেছে সন্তান বিক্রির অনেক ঘটনা। শেষ ঘটনাটি ঘটেছে তেলিয়ামুড়া মহকুমার কৃষ্ণপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বংশীপাড়ায়।
জানা গেছে, বংশী পাড়ার বাসিন্দা খুলন দেববর্মা পেশায় দিনমজুর। দীর্ঘদিন ধরে পাহাড়ে কাজ না থাকায় মারাত্মক অভাব অনটনের মধ্যে পড়ে তার পরিবার। অনাহার, অর্ধাহারে দিন কাটছিল তার পরিবারের সদস্যদের। নিজেরা বাঁচতে শেষপর্যন্ত সদ্যোজাত কন্যাকে বিক্রির মতো কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে খুকেন।
বুকে পাথর চাপা রেখে স্ত্রীর অজান্তে নিজের দেড় দিন বয়সী শিশু কন্যাকে তিনি বিক্রি করেছেন। এই খবর চাউর হতেই এলাকায় চাঞ্চল্য পড়ে যায়। এলাকাটি রাজ্যের উপজাতি কল্যাণ মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মার নির্বাচনী এলাকা। আর সেখানেই একটি উপজাতি পরিবার অভাবের তাড়নায় বাধ্য হল সন্তান বিক্রি করতে। ঘটনাটি ঘটার পর আলোড়ন সৃষ্টি হতেই স্থানীয় সিভিপিও অফিস থেকে এক প্রতিনিধি দল ঘটনার তদন্তে গেছে।