পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ করোনা অতিমারির আবহে অবশেষে পিছিয়ে দেওয়া হল আসানসোল, শিলিগুড়ি, চন্দননগর এবং বিধাননগর পুর নিগমের ভোট। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি হবে নির্বাচন, ভোট গণনা হওয়ার কথা ১৫ ফেব্রুয়ারি। আজই বিজ্ঞপ্তি জারি করতে পারে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। বিজেপি সহ বাকি রাজনৈতিক দলগুলি এই এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে।
করোনা সংক্রমণ যেভাবে বাড়ছে তাতে শুক্রবার হাইকোর্ট আগামী ২২ জানুয়ারি চার পুরনিগমের ভোট পিছিয়ে দেওয়া যায় কিনা তা নিয়ে চিন্তা ভাবনা করার কথা বলে। আদালতে পর্যবেক্ষণ ছিল অতিমারীর আবহে কমপক্ষে চার থেকে ছয় সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়া হোক এই চার পুরনিগমের নির্বাচন।
তৃণমূল কংগ্রেসও কমিশনের কাছে একই ধরনের অনুরোধ জানায়। কমিশন রাজ্যের মতও গ্রহণ করছে।
উল্লেখ্য পুরভোট পিছনোর দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের করা হয় একাধিক মামলা। শুক্রবার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ তাদের রায়ে বলেন “আমাদের মতামত হল রাজ্যের বর্তমান সংক্রমণ পরিস্থিতি এবং নির্বাচন হতে যাওয়া চার পুরনিগমের কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে যথাযথ সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন একথা আগেই জানানো হয়েছিল।
সংক্রমণ যে হারে বাড়ছে সেই কথা মাথায় রেখে কলকাতা হাইকোর্টে ভোট পিছনোর আর্জি নিয়ে মামলা দায়ের করেন সমাজকর্মী বিমল ভট্টাচার্য। এই মামলার সওয়াল করতে গিয়ে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন সাগরমেলার ক্ষেত্রে পুণ্যস্নানের নির্দিষ্ট দিন আছে। কিন্তু, নির্বাচনের ক্ষেত্রে তো তেমনটা নয়।’
যদিও রাজ্য সরকারের আইনজীবী জিষ্ণু সাহা বলেন, ‘রাজ্য সরকার এখনও মানুষের যাতায়াতের উপর কোনও বিধিনিষেধ আরোপ করেনি। সম্পূর্ণ লকডাউনও ঘোষণা হয়নি। তাই নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার কোনও যুক্তি নেই।’
এরপরই হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যের কাছে জানতে চায় ভোট পিছিয়ে দেওয়া সম্ভব কিনা। কমিশন কে শনিবার চিঠি দিয়ে রাজ্য সরকার করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে রাজ্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত। পুর নির্বাচন পিছোলে রাজ্যের আপত্তি নেই।