পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: সম্প্রতি কয়েক বছরে শহরে একাধিক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। বিশেষত ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় এই ধরণের ঘটনা বেশি ঘটেছে। তার জলজ্যান্ত প্রমাণ টেংরা, তপশিয়ায়র অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। কেন বারবার ঘনবসতি এলাকায় আগুন, এর সঠিক তথ্য জানতে কলকাতা পুরসভা, রাজ্য অগ্নিনির্বাপক বিভাগ, কলকাতা পুলিশ ও সিইএসসি- কে নিয়ে যৌথ সমীক্ষার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।
সম্প্রতি সেই রিপোর্ট সামনে এসেছে। তাতে দেখা গিয়েছে শহরে বর্তমানে সাড়ে ৬০০ কারখানা রয়েছে, যা বেআইনিভাবে চালানো হচ্ছে। না আছে কোনও বৈধ কাগজপত্র, না আছে ফায়ার অডিট। ফলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলেই, তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এই রিপোর্ট সামনে আসতেই শুক্রবার পুরভবনে জরুরিভিত্তিতে বৈঠক ডাকেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু , কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (সদর) শুভঙ্কর সিনহা ও সিইএসসি- র আধিকারিকেরা। এদিনের যৌথ বৈঠকে সমস্যা সমাধানে একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বৈঠক শেষে রাজ্যের পুর মন্ত্রী তথা মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানান, শহরে ৪৯০ টি জায়গা পাওয়া গিয়েছে, যেখানে বেআইনি ভাবে কারখানা চলছিল। এরমধ্যে কলকাতা পুলিশের তরফে সাড়ে ৬০০ টি বেআইনি বলে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানান দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। তবে এই কারখানাগুলোর বিরুদ্ধে এখনই কোনও কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন দুই মন্ত্রী। সেক্ষত্রে বৈধ কাজগপত্র করার জন্য প্রথমে নোটিশ করা হবে। তারপরেও না মানলে তবেই আইনি পদক্ষেপের কথা ভাবা হবে। এ প্রসঙ্গে ফিরহাদ হাকিম বলেন, যে বেআইনি কারখানাগুলির হদিস পাওয়া গিয়েছে, তার অধিকাংশই ছোট কারখানা। অনেক মালিকরাই ওয়াকিবহল নন বৈধতা বিষয়ে। সে কথা মাথায় রেখে এই অঞ্চলের ব্যবসীদের ‘ফায়ার কনসাসনেস স্টাডি’ করানো হবে। একটি কারখানা চালানোর জন্য কি কি বৈধ কাজগপত্র প্রয়োজন, কি ধরণের অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা থাকা বাধ্যতামূলক, সেই পাঠই দেওয়া হবে। এই কাজ বাস্তবায়নের জন্য ব্যবসীদের সবরকম সাহায্য করা হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন দুই মন্ত্রী।