পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক : পাকিস্তানে ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির কারণে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা ক্রমশ বিপর্যস্ত হচ্ছে। পবিত্র রমযান মাসে বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্য আকাশ ছুঁয়েছে। ফলে সাধারণ মানুষের জন্য রমযান মাসটি কঠিন হয়ে উঠেছে। করাচির বাজারে কেনাকাটা করতে আসা আজমত নামে এক ক্রেতা বলেন, ‘রমযান মুসলিমদের পবিত্র মাস। কিন্তু এত উচ্চ মূল্যস্ফীতি সকলের জন্যই সমস্যা।’ তিনি সরকারের কাছে ভর্তুকির দোকান স্থাপনের দাবি জানান, যাতে সাধারণ মানুষ সস্তায় খাবার ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে পারে। স্থানীয় কিছু ব্যবসায়ী যৌথ উদ্যোগে সাধারণ মানুষের জন্য রিলিফের ব্যবস্থা করেছেন। আজমত বলেন, ব্যবসায়ীরা ‘সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি অর্গানাইজেশন’ নামে বেসরকারিভাবে দোকান খুলে সস্তায় ফল ও সবজি বিক্রি করছেন। তিনি সরকারের কাছেও এমন উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান। আরও বলেন, ‘আমরা কলা কিনছি ৮০ রুপি ডজন। কিন্তু সাধারণ দোকানে এখনও কলার দাম ১৫০ রুপি ডজন। এই দাম আমাদের নাগালের বাইরে।’ আরেক ক্রেতা হানিফ বলেন, ‘বড় ব্যবসায়ীরা খোলা বাজারে দাম বাড়ানোর জন্য পণ্য মজুদ করছেন। এর ফলে জিনিসপত্রের দাম দ্বিগুণ হয়ে গেছে।’ তিনি বলেন, ‘রমযানের আগে যেসব জিনিস অর্ধেক দামে পাওয়া যেত, এখন তার দাম দ্বিগুণ।’ হানিফের ভাষ্য, ‘শুধু ভোজ্য উপকরণ নয়, সবকিছুরই দাম বেশি। পরিস্থিতি খুব শীঘ্র ভালো হবে বলে মনে করি না। মূল্যস্ফীতি শুধু খাদ্যদ্রব্যেই নয়, বাজারে সব কিছুরই দাম বেশি।’