পুবের কলম প্রতিবেদক, নদিয়া: কৃষ্ণনগর শহরে অবস্থিত মুসলিমদের একটি বড় কবরস্থান, যা ‘গোদাডাঙ্গা কবরস্থান’ নামে পরিচিত। এটি ওয়াকফ বোর্ডের অন্তর্ভুক্ত। স্থানীয় মুসলিম বাসিন্দাদের অভিযোগ, কবরস্থানের গেটের উপর ওয়াকফ বোর্ডের নাম লেখা যে তোরণটি ছিল রাতারাতি কৃষ্ণনগর পুরসভা ওয়াকফ বোর্ডের নাম পরিবর্তন করে সেখানে কৃষ্ণনগর পুরসভার অধীন বলে লিখে দেয়।
মুসলিম নাগরিকরা বর্তমান পুরসভার চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করে এ বিষয়ে আপত্তি জানান। পুরসভার চেয়ারম্যান তাদের বলেন, যেহেতু এটি পুর এলাকায় অবস্থিত তাই আমরা কৃষ্ণনগর পুরসভা পরিচালিত লিখব।
উল্লেখ্য, পুরসভা হল সরকার পোষিত সংস্থা আর ওয়াকফ বোর্ড হল পুরোপুরি সরকারি দফতর। এই দফতর মসজিদ, মাজার, ঈদগা, কবরস্থানের প্রাচীর নির্মাণ ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উন্নয়নের কাজ করে থাকে।
কৃষ্ণনগর পুররসভা অনৈতিকভাবে ওয়াকফ বোর্ডের কবর স্থান দখল করে নেওয়ায় মুসলিম বাসিন্দারা স্তম্ভিত হয়ে গেছেন।
এ বিষয়ে তারা প্রতিকারের জন্য জেলাশাসক এবং মহকুমাশাসকের দ্বারস্থ হয়েছেন।
এলাকার মুসলিম বাসিন্দারা আজ এই নিয়ে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করেন। আজকের আলোচনা সভায় কবরস্থান কমিটির মোতোয়াল্লি নাজিমউদ্দিন আহমেদ, কৃষ্ণনগর কুর্চিপোতা জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ শরফুদ্দিন ও আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নেতা মাওলানা মুদাস্সির, কাঠালিয়া মাদ্রাসার সভাপতি হাফেজ ইব্রাহিম, কবরস্থান কমিটির সদস্য, বিভিন্ন মহল্লাবাসী এবং আলেম-ওলামাগণ উপস্থিত ছিলেন।
কবরস্থান কমিটির মোতওয়াল্লি নাজিমুদ্দিন অভিযোগ করেন, কৃষ্ণনগর পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান এবং ডিএল রায় কলেজের অধ্যক্ষ মিলে কবরস্থানটিতে অবৈধ নির্মাণ কাজ যথা ডিএল রায় কলেজ ক্যম্পাস, শিশু উদ্যান, খেলার মাঠ ইত্যাদি একের পর এক কাজ করে চলেছেন। অথচ ১৫.১০ একর জমি মুসলমানদের কবরস্থানে হিসেবেই প্রাচীনকাল থেকেই ব্যবহৃত হচ্ছে।
তাদের বক্তব্য, প্রতিকার না হলে তারা বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচি গ্রহণ করবেন।
জেলা প্রশাসন, মহকুমা প্রশাসন থেকে এবিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।