পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: ‘সব ভোটই দামি’, কথাটা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে বিজেপি। প্রথমে দেশের মুসলিমদের ভোটের প্রয়োজন ছিল না বিজেপির। কিন্তু দশ বছর পর এখন মুসলিমদের মধ্যে ‘মিত্র’ খুঁজছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তাঁর দল। বুধবার প্রধানমন্ত্রী একই বার্তা দিলেন দেশের আদিবাসীদের প্রতিও। সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশে আদিবাসী শ্রমিকের গায়ে-মুখে প্রস্রাব করেছিল এক বিজেপি কর্মী। আর এদিকে বুধবার মহান আদিবাসী নেতা বিরসা মুন্ডাকে ‘ভগবান’ ডাকলেন মোদি।
এক্স হ্যান্ডেলে তিনি নিজেই বিরসা মুন্ডাকে ভগবান বলে উল্লেখ করেন। এদিন বিরসা মুন্ডার জন্মদিন উপলক্ষে তাঁর জন্মস্থান ঝাড়খন্ডের উলিহাটু গ্রামে যান মোদি। সেখানে তাঁর মুর্তিতে মাল্যদান করে প্রণাম করেন। পুজোর ভঙ্গিতে গঙ্গাজল ছিটিয়ে বিরসা মুন্ডাকে শ্রদ্ধা জানান। তারপর কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, মোদিই প্রথম প্রধানমন্ত্রী যিনি বিরসার জন্মদিন উপলক্ষে তাঁর গ্রামে পা রেখেছেন। অর্থাৎ এটাকে বড় সাফল্য হিসেবে দেখাতে চাইছে কেন্দ্র।
শুধু তাই নয়, এদিনই ঝাড়খন্ড থেকে পিছিয়ে পড়াদের জন্য ২৪ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন করেন তিনি।
একই ধরণের আয়োজন করা হয় পার্লামেন্ট হাউস কমপ্লেক্সেও। সেখানে ধুমধাম করে বিরসা মুন্ডাকে জন্মদিনের শ্রদ্ধা জানানোর ব্যবস্থা করা হয়। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়, লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মিনাক্ষী লেখি সহ অন্যান্যরা এদিন বিরসাকে শদ্ধা জনান। আদিবাসী নৃত্যশিল্পীদের সঙ্গ দেন রাষ্ট্রপতি। ঢোল বাজান জগদীপ ধনখড় ও ওম বিড়লা।
সামনেই আদিবাসী অধ্যুষিত ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ এছাড়া রাজস্থান ও তেলেঙ্গেনার নির্বাচন। সেখানকার আদিবাসী ভোটারদের মন জয় করার শেষ মুহুর্তের চেষ্টাটাও খোয়ালেন না প্রধানমন্ত্রী।
সম্প্রতি ও গত ১০ বছরে বিভিন্ন রাজ্যে, বিশেষ করে ডবল ইঞ্জিন রাজ্যগুলিতে বারবার আদিবাসী-দলিতদের উপর নির্যাতন হয়েছে। তার উপর রাহুল গান্ধি বেশ কয়েকটি নির্বাচনে মোদি সরকারকে বিঁধেছে, কারণ প্রধানমন্ত্রী আদিবাসী সম্প্রদায়কে ‘বনবাসী’ বলে ডেকেছিলেন। ৪ রাজ্যের বিধানসভা ও চব্বিশের লোকসভার দিকে নজর রেখে বুধবার প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সরকার আদিবাসীদের মন জয়ের সর্বোচ্চ চেষ্টা করলেন। এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী বিরসার গ্রামের ছবি পোস্ট করে লেখেন, ‘রাঁচিতে ভগবান বিরসা মুন্ডা সংগ্রহালয়ে গিয়ে তাঁকে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ করলাম’।