পুবের কলম প্রতিবেদক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে এবিভিপি ও যুব মোর্চার মিছিলকে কেন্দ্র করে যাদবপুর থানার সামনে শুরু হয় ধুন্ধুমার। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি, হাতাহাতি শুরু হয় এবিভিপি সমর্থকদের মধ্যে। এবিভিপি সমর্থকদের আটকও করে পুলিশ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় যাদবপুর থানা চত্বরে।
এ দিন যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদেই গোলপার্ক থেকে যাদবপুর ৮বি পর্যন্ত মিছিলের ডাক দেয় বিজেপি যুব মোর্চা। সেই মিছিলে শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদার সহ রাজ্য বিজেপি-র শীর্ষ নেতাদের উপস্থিত থাকার কথা ছিল। কিন্তু ওই মিছিলে শুধু বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারি উপস্থিত হন। এদিন মিছিল শুরুর আগেই গোলপার্ক থেকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত মিছিল করার প্রস্তুতি নেয় বিজেপি-র ছাত্র সংগঠন এবিভিপি।
কিন্তু সেই মিছিল যাদবপুর থানার সামনে পৌঁছতেই বাধা দেয় পুলিশ। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এবিভিপি সমর্থকরা এগনোর চেষ্টা করলে ধস্তাধস্তি বেঁধে যায়। এবিভিপি সমর্থকদের আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। পুলিশের দাবি, এবিভিপি-র এই মিছিলের কোনও অনুমতি ছিল না। যুব মোর্চাদের দাবি, আদালতের অনুমতি নিয়ে এই মিছিল করছে বিজেপি।
যাদবপুর কাণ্ডের প্রতিবাদে বিজেপির মিছিলেও প্রকাশ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব। শুক্রবারের মিছিলে নেতৃত্ব দেন শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার নেতৃত্বাধীন মিছিল সেভাবে সাফল্য পায়নি বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের। এদিকে সেই মিছিলেই দেখা গেল না রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে। প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষও যোগ দেননি মিছিলে। সূত্রের খবর, আগে থেকে ভালভাবে দলীয় কর্মসূচির কথা জানানোই হয়নি তাঁকে। তাই এদিনের মিছিলে অংশ নেননি তিনি।
এদিনের মিছিল থেকে ‘এসএফআইওয়ালো কো জুতো মারো’ স্লোগানও ওঠে। বিশ্ববিদ্যালয়ের চার নম্বর গেটের সামনে জুতো উঁচিয়ে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা বিক্ষোভ দেখান। তা প্রতিহত করতে এগিয়ে আসে পুলিশ। বিজেপি যুব মোর্চার মিছিল থেকে দেওয়া এই স্লোগানকে সমর্থন করে না তৃণমূল। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ জানান, র্যাগিংকে সমর্থন করে না তৃণমূল। তার তদন্ত চলছে। তবে বিজেপির এই ধরনের স্লোগানকে সমর্থন করি না আমরা। বিজেপি ইচ্ছাকৃতভাবে অশান্তি তৈরির চেষ্টা করছে বলেই অভিযোগ কুণালের।
এদিকে, বিজেপি যুব মোর্চার আগে একই ইস্যুতে এদিন মিছিল করে এবিভিপি। পুলিশি অনুমতি না থাকা সত্ত্বেও মিছিলকে কেন্দ্র করে গোলপার্কে কার্যত ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। তাদের মিছিলে বাধা দিলে পুলিশ ও এবিভিপি কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে বচসা বাঁধে। ধস্তাধস্তিও হয়। পরে পরিস্থিতি সামাল দেয় পুলিশ।