পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: হরিদ্বারের হর কি পাউরি ঘাটে পুলিশ গ্রেফতার করেছে নিজামউদ্দিনকে। তার অপরাধ? সে মুরগির ডিম বিক্রি করছিল। হরিদ্বারের এই ঘাটে যে ডিম বিক্রি নিষিদ্ধ তা নিজামুদ্দিন জানতো না। পুলিশের হাতে তাকে ধরিয়ে দেন স্থানীয়রাই। ধরা পড়ার পর কাঁদো কাঁদো মুখে নিজামুদ্দিন (২৭) বলে, এখানে যে ডিম বিক্রি করা যায় না, তা আমি জানতাম না। কোথাও কোনো লিখিত নিষেধাজ্ঞা নেই। তাছাড়া আমি জেনেবুঝে তা করেনি। কিন্তু নিজামউদ্দিনের সে কথা মানাতে নারাজ গঙ্গা সভা। তাদের দাবি ওর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হোক। তাদের অভিযোগ ইচ্ছাকৃতভাবে নিষিদ্ধি এলাকায় ডিম বিক্রি করে আসলে হিন্দুভাবাবেগে আঘাত করা হয়েছে।
অভিযোগ পাওয়ার পরই নিজামুদ্দিনের কাছে যতগুলি ডিম ছিল তা কেড়ে নেয় পুলিশ। তার বিরুদ্ধে হিন্দুভাবাবেগে আঘাত করার মামলা দায়ের করা হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদের গাঁজাওয়ালী জেলার বাসিন্দা নিজামউদ্দিন জানতেন না যে এখানে মাছ, মাংস বা ডিম বিক্রি করা যায় না। তাকে সে কথা কেউ বলেনি। গরিব মানুষ তিনি। ডিম বিক্রি করে সংসার চালান। ডিম খাওয়ার পক্ষে টিভিতে বছরের পর বছর বিজ্ঞাপন চলেছে। তাতে বলা হয় ‘সানডে হো ইয়া মানডে রোজ খাও আন্ডে’। সেই আন্ডা বিক্রি যে তার জেল যাত্রার কারণ হতে পারে সে কথা স্বপ্নেও কল্পনা করেননি নিজাম।
কতজন কত অপরাধ করতে পার পেয়ে যাচ্ছে। ক্ষতিকারক জেনেও সরকার মদ বিক্রির ঢালাও লাইসেন্স দেয়। অথচ যে ডিম মানুষের খাদ্য, দরিদ্র মানুষের প্রোটিনের অন্যতম মাধ্যম, সেই ডিম বিক্রি করতে গিয়ে যে এমন পরিণতি হবে ভাবতে পারেনি নিজামউদ্দিন। একথা শুনে অনেকে বলেছেন, কি বিচিত্র এই দেশ…।