পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ ছত্তিশগড়ে নেতৃত্ববদলের জল্পনার মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলের ঘনিষ্ট বলে পরিচিত এমন কয়েকজন কংগ্রেস বিধায়ক ঘাঁটি গেঁড়েছেন দিল্লিতে। অনেকে এই দিল্লি-যাত্রাকে শক্তি প্রদর্শন বলে ব্যাখ্যা করলেও বাঘেল শিবির জোর দিয়ে জানিয়েছে যে, যে বিধায়করা দিল্লিতে গিয়েছেন তাঁরা নিজেদের ইচ্ছায় গিয়েছেন এবং এখানে শক্তির প্রদর্শনের মতো কিছু ঘটেনি। চলতি বছরের জুন মাসে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে বাঘেলের আড়াই বছর পূর্ণ হল। ছত্তিশগড়ে মুখ্যমন্ত্রিত্ব বদলের দাবি মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। ক্যাবিনেট মন্ত্রি টি এস সিংদেওর শিবির দাবি করছে যে, ২০১৮ সালে হাই কম্যান্ড রাজি হয়েছিল এই শর্তে যে, সরকারের টার্ম অর্ধেক সম্পূর্ণ হওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী পদ তাঁকে তুলে দেওয়া হবে। বাঘেল ঘনিষ্ট বলে পরিচিত এবং দিল্লিতে হাজির হওয়া বৃহস্পত সিং শুক্রবার বলেন যে, রাজ্যের শীর্ষ পদ পরিবর্তনের কোনও প্রশ্নই নেই এবং বাঘেলের নেতৃত্বাধীন সরকার পাঁচ বছরই থাকবে।
রামানুজগঞ্জ আসনে বিধায়ক বৃহস্পত আরও জানান,”আমরা এখানে এসেছি এআইসিসির ছত্তিশগড়ের ভারপ্রাপ্ত পি এল পুনিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এবং আমরা অপেক্ষা করছি। আমরা জানাতে চাই যে, ছত্তিশগড়ে রাহুল গান্ধির প্রস্তাবিত সফরের মেয়াদ আরও বাড়ানো হোক যাতে এই রাজ্যের বিধায়কদের সুবিধা হয়।”। পুনিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন যে, তিনি লখনৌতে ছিলেন এবং বিধায়করা যে দিল্লিতে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন এই ব্যাপারে তাঁর কাছে কোনও খবর ছিল না। সূত্রের মতে, প্রায় ২০ জন বিধায়ক ইতিমধ্যেই দিল্লিতে হাজির হয়েছেন এবং আরও প্রায় ১০ জন বিধায়ক দিল্লি রওনা হয়েছেন। এই বিষয়ে বাঘেলকে প্রশ্ন করা হলে তিনি মন্তব্য করেন,”আমাকে একটা কথা বলুন–বিধায়করা কি যে-কোনও জায়গায় যেতে পারেন না? প্রতিটি পদক্ষেপকে রাজনীতি হিসাবে দেখা উচিত নয়। যে কেউ যে কোনও জায়গায় যেতে পারেন।” সিংদেও এ প্রসঙ্গে বলেন, ৭০ জন বিধায়কই যেতে পারেন। তবে হাই কম্যান্ড যে সিদ্ধান্ত নেবে সেটাই চূড়ান্ত।