পুবের কলম প্রতিবেদক: শিক্ষা হচ্ছে সমাজের চালিকাশক্তি। তাই সবাই শিক্ষা অর্জন করতে হবে। বিশেষ করে মুসলিমদের আরও বেশি করে এগিয়ে আসতে হবে। তবে শুধু দুনিয়ার শিক্ষাকেই গুরুত্ব দিলে হবে না। দ্বীনি শিক্ষা ও নারীদের শিক্ষিত করে তোলার ব্যাপারেও সমানভাবে গুরুত্ব দিতে হবে। রবিবার কলকাতা হো-চি-মিন সরণিতে অবস্থিত আইসিসিআর হলে ‘কলকাতা খিলাফত কমিটি’ আয়োজিত কৃতী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এমন কথাই উঠে এলো বিশিষ্টদের মুখে। এছাড়াও সমাজের নৈতিক মূল্যবোধ, দেশপ্রেম ও কওমের খিদমতের কথাও বলেন বক্তারা। ওঠে আসে দেশের বর্তমান পরিস্থিতির কথাও।
এ দিনের অনুষ্ঠানে মাধ্যমিক ও আইসিএসই পরীক্ষায় দেশের মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থান অধিকারী ৩জন মিলিয়ে ৪৩ জন কৃতীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে বিশিষ্টদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা, মুহাম্মদ গুলাম রব্বানি, জাভেদ আহমদ খান, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অশোক কুমার গাঙ্গুলি, পুবের কলম-এর সম্পাদক আহমদ হাসান ইমরান, সাংসদ নাদিমুল হক, অধ্যাপক নির্মল কান্তি চক্রবর্তী, মুসলিম পার্সোনাল ল’ বোর্ডের সদস্য মিসেস ফখিরা আতীক, মুজতবা ফারুক, আইনজীবী সাহিদ ইমাম, সমাজসেবী মুহাম্মদ খলিল, খিলাফত কমিটির সাধারণ সম্পাদক নাসির আহমেদ, অন্যতম সদস্য আনোয়ার প্রেমী, মুহাম্মদ মুমতাজ, মনসুর হাসান, ডা. এম এন হক, মুহাম্মদ আসিফ ও ইশহাক মল্লিক প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, দেশের স্বাধীনতা আন্দোল নে বড় ভূমিকা পালন করেছিল খিলাফত কমিটি। এই সংগঠনের সঙ্গে মহাত্মা গান্ধিজিও জড়িত ছিলেন। শুধু তাই নয়, জড়িত ছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, সি আর দাশ, লালা লাজপৎ রায়, মৌলানা আবুল কালাম প্রমুখ। বর্তমানে দেশ অবশ্য স্বাধীন হয়েছে। একইসঙ্গে বিলুপ্ত হয়েছে খিলাফত। তবে নানান সামাজিক কাজকর্ম আজও অব্যাহত রেখেছে শতাব্দী প্রাচীন এই সংগঠন। তারই অংশ হিসাবে রবিবার মাধ্যমিক পর্যায়ের কৃতী পড়ুয়াদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়।