পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: করোনার ঢাল হিসেবে বিশেষজ্ঞরা জানান একমাত্র ভ্যাকসিনই এই ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করতে পারে। এতদিন পর্যন্ত শরীরে ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছিল। এবার অনুমোদন পেল ন্যাসাল ভ্যাকসিন। অনেকদিন ধরেই ট্রায়াল চলছিল। জরুরি ভিত্তিতে ভারত বায়োটেকের তৈরি ন্যাসাল ভ্যাকসিনকে অনুমোদন দিল ভারত। বলা যায় করোনা প্রতিরোধে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল দেশ।
ভারতের তথা বিশ্বের প্রথম ন্যাসাল কোভিড টিকা হল এটি। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য ট্যুইটে করে এই কথা জানিয়েছেন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ভারত বায়োটেকের ইন্ট্রান্যাসাল কোভিড-১৯ টিকাকে প্রয়োগের জন্য মান্যতা দিল ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া, ডিসিজিআই।
মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য একটি ট্যুইট করে জানিয়েছেন, ভারত বায়োটেকের নির্মিত এই টিকা ডিসিজিআই-এর অনুমোদন পেয়েছে। ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে নাগরিকদের জরুরিকালীন ভিত্তিতে এই টিকা ব্যবহারের ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারত তার বিজ্ঞান, গবেষণা, উন্নয়ন এবং মানব সম্পদকে কাজে লাগিয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক ট্যুইটে জানিয়েছে, কোম্পানিটি জরুরি অনুমোদনের ভিত্তিতে নাইট্রিক অক্সাইড নাসাল স্প্রে-এর জন্য ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার কাছ থেকে উৎপাদন ও বিপণনের অনুমোদন পেয়েছে। ইতিমধ্যেই তিনটি ট্রায়াল সম্পূর্ণ হয়েছে। দেখা গেছে ২৪ ঘন্টার মধ্যে ৯৪ শতাংশ ও ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ৯৯ শতাংশ জীবাণু হ্রাস করার ক্ষমতা রাখে এই ভ্যাকসিন। জরুরিকালীন পরিস্থিতিতে নিয়ন্ত্রিতভাবে ১৮ বছরের বেশি বয়সীদের এই টিকা দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, এর আগে ভারত বায়োটেকের ন্যাসাল টিকার বুস্টার ডোজের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ক্ষেত্রে ছাড়পত্র দেয়। এছাড়াও বিবিভি-১৫৪ এর অনাক্রম্যতা ও নিরাপদ ব্যবহারের বিষয়ে কোভ্যাকসিনের সঙ্গে তুলনা করে দেখার জন্য তৃতীয় ধাপের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে অনুমোদন দেয়।
ভারত বায়োটেকের চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর কৃষ্ণা ইল্লা জানিয়েছিলেন, এই ভ্যাকসিন প্রয়োগের ফলে এখনও পর্যন্ত কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঘটনা দেখা যায়নি। করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ভারত আরও ধাপ এগিয়ে গেছে।
ভারত বায়োটেকের তরফে জানানো হয়েছে, এই ন্যাসাল ভ্যাকসিন কোভিড-১৯ সংক্রমণ ও প্রতিরোধে সক্ষম। এই ভ্যাকসিন দেওয়ার পদ্ধতিও অনেক সহজ। তাই এই ধরনের ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে সেভাবে প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মীর কোনও প্রয়োজন নেই।