পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: মঙ্গলবার ভারতের আর্থিক উন্নয়নের হার ৭.৪ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৬.৮ শতাংশ করলো ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ড বা আইএমএফ।
গত জুলাই মাসে আইএমএফ জানিয়ে ছিল ২০২২ সালে ভারতের আর্থিক উন্নয়নের হার দাঁড়াবে ৭.৪ শতাংশ। সেখান থেকে মঙ্গলবার অনেকটাই সরে এসেছে তারা।
আইএমএফ যে ভারতের আর্থিক উন্নয়নের হার কমিয়েছে সেটি বিশ্ব অর্থনীতির সঙ্গে সাযুজ্যপূর্ণ।
বার্ষিক ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক রিপোর্টে আইএমএফ জানিয়েছে আশানুরূপ ভাবে অর্থনীতির গতি বাড়ছে না। বিশ্ব অর্থনীতির শ্লথগতির প্রভাব পড়েছে ভারতের উপরও।
আইএমএফের প্রধান অর্থনীতিবিদ পিয়ের অলিভিয়ার গৌরিনচাস বলেছেন, ভারতের অর্থনীতিকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন।
ভারতে এই মুহূর্তে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি হার মুদ্রাস্ফীতির। ২০২২-২৩ সালে আমাদের মনে হয় ভারতের মুদ্রাস্ফীতির হার থাকবে ৬.৯ শতাংশ।
হয়তো আগামী বছর এই হার কমে দাঁড়াতে পারে ৫.১ শতাংশ। অর্থনীতির এই পরিস্থিতিতে আর্থিক নীতির আমূল পরিবর্তনের প্রয়োজন।
প্রয়োজন কঠোর আর্থিক অনুশীলন। আইএমএফ বলেছে বিশ্বের সামগ্রিক আর্থিক বিকাশের হার ২০২২ সালে দাঁড়িয়ে রয়েছে ৩.২ শতাংশে। ২০২৩ সালে এটি কমে দাঁড়াবে ২.৭ শতাংশে।
অথচ ২০২১ সালের বিশ্ব অর্থনীতির বিকাশের হার ছিল ৬ শতাংশ। বিশ্বের বড় বড় দেশের অর্থনীতির অবস্থা খুব খারাপ। ২০২২ সালের মাঝামাঝি আমেরিকার জিডিপি সংকুচিত হয়েছে। তেমনি ২০২২ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থনীতির অবস্থাও খুব একটা ভালো নয়।
চিনেও অর্থনীতির গতি অনেকটাই শ্লথ হয়েছে। ২০২১ সালে চিনের আর্থিক উন্নয়নের হার ছিল ৮.১ শতাংশ কিন্তু ২০২২ সালে সেটি কমে দাঁড়িয়েছে ৩.২ শতাংশ।
আইএমএফ সতর্ক করে বলেছে দেশের ২৯ শতাংশ ব্যাঙ্কের মূলধন সমস্যা দেখা দিতে পারে যদি ২০২৩ সালে বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দা শুরু হয়ে যায়।
গৌরিনচাস বলেন, বিশ্বের অর্থনীতিতে উন্নয়ন দেখতে হলে প্রয়োজন ২০০ বিলিয়ন ডলার। আইএমএফ মোটামুটি তিনটি কথা বলেছে,
১. জুলাই মাসের ৭.৪ শতাংশ আর্থিক উন্নয়নের হার কমিয়ে দেওয়া হল।
২. বিশ্বের অন্যান্য ডামাডোল অর্থনীতির সঙ্গে সাযুজ্যপূর্ণ ভারতের অর্থনীতির পতন।
৩. আইএমএফ বলে যে চলতি বছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক থেকে ভারতের অর্থনীতির অবস্থা খারাপ হচ্ছে, চাহিদা কম থাকায় অর্থনৈতিক কাজকর্মে ভাটা দেখা দিয়েছে।