পুবের কলম প্রতিবেদক: আজ বুধবার বিধানসভায় পেশ হতে চলেছে ২০২৩- ২৪ আর্থিক বছরের বাজেট। দুপুর দুটোয় রাজ্যে অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এই বাজেট পেশ করবেন। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের বাজেট পেশ করা সম্পন্ন।বিরোধীদের দাবি ২৪ এর লোকসভা ভোটের দিকে তাকিয়েই জনমোহিনী ও উদারিকরণ বাজেট পেশ করেছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। এমনটাই দাবি বিরোধীদের।
কেন্দ্রর আর্থিক বঞ্চনা নিয়ে বারংবার সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু কেন্দ্র যতই আর্থিক বঞ্চনা করুক রাজ্যের কোন সামাজিক প্রকল্প বন্ধ হবেনা। এমনটাই ইঙ্গিত মিলেছে।
সূত্রের খবর রাজ্য বাজেটে মিলতে পারে বিকল্প আয়ের দিশাও। বাজেট পেশ হওয়ার পর ভারচুয়ালি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হবেন রাজ্যের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী ও আর্থিক উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান অমিত মিত্র। অন্যদিকে বিধানসভায় সাংবাদিক সন্মেলন করবেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র।
পরিষদীয় রীতি মেনে দুপুর একটায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরেই ক্যাবিনেট বৈঠকে পেশ হবে বাজেট। বাজেট পেশ সম্পূর্ণ হওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী যাবেন পশ্চিম মেদিনীপুর সফরে।
তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে কেন্দ্র এবং রাজ্যের বাজেটের মধ্যে যতই বৈষম্য থাকুকনা কেন মিল কিন্তু একটা আছে। সেটা হল কেন্দ্র ও রাজ্য উভয় ক্ষেত্রেই মহিলা অর্থমন্ত্রীর হাত ধরেই পেশ হচ্ছে বাজেট। কেন্দ্রে যেমন নির্মলা সীতারমন, রাজ্যে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য্য। এই নিয়ে নিজের দ্বিতীয় বাজেট পেশ করতে চলেছেন চন্দ্রিমা।
রাজ্যের উন্নয়নের কাজ থমকে যাবেনা কেন্দ্র টাকা না দিলে। সোমবারই এই মর্মে বিধানসভায় বক্তব্য রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কেন্দ্রের বঞ্চনা নিয়ে সরব হয়েছেন স্বয়ং রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তা নিয়ে বিজেপি বিধায়করা কম জলঘোলা করেন নি। কাগজ ছিঁড়ে দেওয়া, রাজ্যপালকে স্লোগান সবই চলেছে। এরপর রাজ্যপাল কে “ ট্র্যাকে আনতে” চলছে গৈরিক প্রয়াস। বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মিত্র যেমন সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন তেমন দিল্লিতেও ডাক পড়েছে সিভি আনন্দ বোসের।
রাজ্যপালের ভাষণের বিতর্কে আলোচনায় অংশ নিয়ে বিধানসভায় সরব হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজের বক্তব্যে মুখ্যমন্ত্রী তীব্র কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়ে বলেছেন ‘‘বাবুমশাই, আমরা যদি এতই খারাপ হই তাহলে দুয়ারে সরকারের পুরস্কার কেন্দ্র থেকে পেলাম কী করে? কন্যাশ্রী পেলাম কী করে? ইউনেস্কো পুরস্কার কীভাবে পেল বাংলা! কুৎসা, অপপ্রচারের পরও কাজ হচ্ছে। কৃষকদের বিমার টাকা আমরা দিচ্ছি। ন্যায্যমূল্যে কৃষকদের থেকে ধান আমরা নিজেরা কিনি। চিকিৎসার ব্যবস্থা করছি। ফ্রিতে রেশন, চিকিৎসা, শিক্ষার ব্যবস্থা উচ্চশিক্ষার জন্য ঋণের ব্যবস্থা করেছি।’’
নাম না করে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন যতই বাধা দিক ওরা আমরা আইন মেনেই চাকরি দেব।
দেউচা পাঁচমিতে পাঁচ লক্ষ চাকরি হবে। বানতলা লেদার কমপ্লেক্সে তিন লক্ষ চাকরি হয়েছে, আরও তিন লক্ষ হবে। এমএসএমই-তে আমরা এক নম্বর। সেখানে এক কোটি ৬৫ লক্ষ লোক কাজ করে।’’ জানান মুখ্যমন্ত্রী। ( ৩৮৫)