পুবের কলম প্রতিবেদক: অবাধে আর গাড়ি কেনাবেচা করা যাবে না। নতুন হোক বা পুরানো সবক্ষেত্রেই রিজিওনাল ট্রান্সপোর্ট অফিস বা আরটিও’তে জানাতে হবে। গাড়ির প্রকৃত মালিককে চিহ্নিত করতে এবং কোনও আইনি জটিলতা দেখা দিলে যাতে সঠিক পদক্ষেপ করা যায় তার জন্যে এমন নিয়ম লাগু করছে সরকার।
পরিবহণ দফতর জানাচ্ছে, মূলত গাড়ি ক্রয় ও বিক্রয়কারী সংস্থাগুলির জন্য নয়া নিয়ম লাগু হবে। নতুন নিয়মে গাড়ি বা বাইক বিক্রি করার পরে সম্পূর্ণ দায়মুক্ত থাকবেন বিক্রেতা। তাদের আর আইনি সমস্যায় পড়তে হবে না। কেন এমন আইন চালু করা হবে? পরিবহণ দফতরের সিনিয়র অফিসাররা জানাচ্ছেন- কোনও সংস্থাকে গাড়ি বিক্রি করার পর অনেক সময় পুরানো মালিকের নামেই সেই গাড়ি থেকে যায়। পরে আইনি জটিলতা দেখা দিয়ে কার দায় তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়। সেই সমস্যা যাতে না হয়, তার জন্যেই লাইসেন্সিং পদ্ধতি আনা হবে।
জানা গিয়েছে, গাড়ি কেনাবেচার সঙ্গে যুক্ত সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে ব্যবসার লাইসেন্স নিতে হবে। তার জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমা রাখতে হবে। একদিকে যেমন আইন না মানলে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে, তেমনি গাড়ির সমস্ত তথ্য পরিবহণ দফতরে জমা থাকার পাশাপাশি রাজস্বও বাড়বে। এমনটাই মনে করছেন আধিকারিকরা।
গাডি যে সংস্থা মালিদের কাছ থেকে কিনে নেবে, সেই গাড়ি অন্য কাউকে গাড়িটি বিক্রি না হওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট সংস্থার নামেই থাকবে মালিকানা ও দায়ভার। যাবতীয় নথি সংস্থার হাতেই থাকবে। নতুন কেউ গাড়ি নিলে বর্তমান মালিক মানে গাড়ি ক্রয়-বিক্রয়কারী সংস্থা ও ক্রেতার লিখিত চুক্তি হবে। তারপর তিনি গাড়ির মালিক বলে বিবেচিত হবেন। এর জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রাজ্যের সমস্ত আরটিও বা এআরটিওকে অফিসকে। সব নতুন গাড়ির পাশাপাশি পুরনো গাড়ি কেনাবেচা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য লিখিত আকারে থাকবে পরিবহণ দফতরে।
এ দিকে বেশ কিছু বন্ধ রুটে ট্রাম চালুর কথা আগেই জানিয়েছিল পরিবহণ দফতর। এ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টেও হলফনামা দিয়েছে রাজ্য। তাতে জানানো হয়েছে, ড্রাইভার-ঘাটতি মেটাতে বেশ কিছু কর্মীকে ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে। ২০ বছর ধরে থমকে থাকার পর এবার শুরু হবে ট্রামের জন্য কর্মী নিয়োগ। কলকাতার ঐতিহ্য রক্ষার পাশপাশি হেরিটেজ ট্রাম চালু হবে শহরে।
অন্য এক প্রসঙ্গে পরিবহন কর্তারা জানাচ্ছেন, সরকারের নয়া নিয়মে সব গাড়িতেই প্যানিক বাটন ও লোকেশন ট্র্যাকিং ডিভাইস লাগাতে হবে। অনেক সংগঠন বাড়তি সময় চেয়েছিল, তাই সময় দেওয়া হয়েছে। কেউ কেউ আবার এই ডিভাইস যাতে সরকারের পক্ষ থেকে বন্দোবস্ত করা হয় তার দাবি তুলছে।