পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক : ফের পাকিস্তানের ক্ষমতায় ফিরে আসার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ইমরান খান। সম্প্রতি এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান বলেন, এবার ভোট হলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তিনি জিতবেন। দেশের ভঙ্গুর অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে এবং ঋণ খেলাপির ক্রমবর্ধমান ঝুঁকি এড়াতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) অব্যাহত ভূমিকাকে সমর্থন করবেন বলেও জানান তিনি।
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান গতবছর একটি অনাস্থা ভোটে হারার পর প্রধানমন্ত্রীর পদ থকে সরে যান। এরপর থেকেই ক্ষমতায় ফেরার চেষ্টা শুরু করেন তিনি। দেশটিতে আগামী আগস্টের পর নির্বাচন হওয়ার কথা।
ইমরান বলেন, দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে তিনি একটি ‘মৌলিক’ পরিকল্পনা প্রস্তুত করছেন। ৭০ বছর বয়সি ইমরান খান লাহোরে তার বাসভবনে সাক্ষাৎকারে আরও বলেন, ‘আমরা যদি ক্ষমতায় যাই, তবে আমাদের হাতে বেশি সময় থাকবে না।’
গতবছরের নভেম্বরে লং মার্চ চলাকালীন গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকে লাহোরের বাড়িতে সুস্থ হয়ে উঠছেন ইমরান।
ইমরানের পরিকল্পনা আইএমএফ-এর সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের হাতে এখন কোনও বিকল্প নেই।’ উল্লেখ্য, কয়েক মাস ধরে বিপজ্জনকভাবে ঋণ খেলাপির কাছাকাছি চলে গেছে পাকিস্তান। গত অক্টোবর থেকে পাকিস্তানের বৈদেশিক মুoার রিজার্ভ অর্ধেকে নেমে এসেছে। এখন এক মাসের আমদানির জন্য পর্যাপ্ত অর্থ নেই দেশটির। মুদ্রাস্ফীতিএ নাকাল অবস্থা সাধারণ মানুষের।
ইমরান খান বলেন, ‘আমাদের দেশে আগে কখনও হয়নি এমন নীতি তৈরি করতে হবে। তিনি পাকিস্তানের আঞ্চলিক প্রতিবেশী দেশের ঋণ খেলাপির কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘আমরা শ্রীলঙ্কার মতো পরিস্থিতির আশঙ্কা করছি।’ ক্ষমতায় এলে আবারও শওকত তারিনকে অর্থমন্ত্রী হিসাবে নিয়োগ দেওয়ার কথা বলেন ইমরান।
ইমরান বলেন, তিনি একটি স্বাধীন বিদেশনীতি অনুসরণ করবেন যা আমেরিকা বা চিনের মতো কোনও একক দেশের ওপর নির্ভর করবে না। তিনি ভারতের উদাহরণ টেনে বলেন, আমেরিকার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে তাদের কিন্তু তারা তবুও রাশিয়া থেকে তেল আমদানি করে এবং চিনের সঙ্গেও ব্যবসা-বাণিজ্য করে।