পুবের কলম,ওয়েব ডেস্ক: তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে নির্বাচনে টাকা ছড়ানোর অভিযোগ করে আসছে। অভিযোগের সারবত্তা প্রমাণ করে বিজেপি কর্মীর গাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণে টাকা উদ্ধার করল নির্বাচন কমিশনের ফ্লায়িং স্কোয়াড টিম। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাতে উত্তর মালদা লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত চাঁচল থানার পাহাড়পুরে বাইপাস সড়কে। উদ্ধার হওয়া টাকা চাঁচল বিধানসভা নির্বাচন এলাকায় ভোটের কাজে খরচের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে জানা গেছে। ইতিমধ্যেই উদ্ধার হওয়া প্রায় ৮ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এই ঘটনায় স্থানীয় বিজেপি নেতা তিলক রাম-সহ বাকিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গাড়িটি এলাকার ব্যবসায়ী তথা বিজেপির চাঁচল বিধানসভা কেন্দ্রের নির্বাচনী ইনচার্জ তিলক রামের। তিলক জানিয়েছে, “নির্বাচনে বুথ খরচের জন্য আমরা কিছু টাকা নিয়ে আসছিলাম। দলের জেলা পার্টি অফিস থেকেই এই টাকা দেওয়া হয়েছিল। গাড়িতে প্রায় আট লক্ষ টাকা ছিল। টাকা নিয়ে আসার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকা আমার জানা ছিল না। নির্বাচন কমিশন পুরো টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে।
আদালতের মাধ্যমে আমি টাকা ফেরত পাওয়ার ব্যবস্থা করব।”তবে এই ঘটনায় সরব হয়েছে রাজ্যের শাসক দল। তৃনমূল চাঁচল এক নম্বর ব্লক সভাপতি শেখ আফসার আলি বলেন, “এটাই বিজেপির কালচার। ওরা বাংলার মানুষের ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে রেখে সেই টাকাই এখন বিলি করছে।” এই ঘটনাটি তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে তাদের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে লেখা হয়েছে, বিজেপির প্রচারের একমাত্র কৌশল টাকা ছড়ানো। তৃণমূল প্রশ্ন তুলেছে, নির্বাচন কমিশন কী ক্ষমতা ও অর্থের এই অপব্যবহার রোধে ব্যবস্থা নেবে?
প্রসঙ্গত, এপ্রিল মাসেই জলপাইগুড়িতে এক বিজেপি নেতার কাছ থেকে বড় অঙ্কের নগদ অর্থ উদ্ধার হয়। তারপর শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের অন্তর্গত ঘোষপুকুর এলাকায় বিজেপির মণ্ডল সভাপতি সঞ্জয় সিংয়ের গাড়ি থেকে উদ্ধার হয় প্রায় দেড় লাখ টাকা। এপ্রিলের শেষ দিকে রবীন্দ্র অ্যাভিনিউ এলাকায় নাকা চেকিংয়ে বিজেপির দক্ষিণ মালদা সাধারণ সম্পাদক শান্তনু ঘোষের গাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ১ লাখ ৯৫ হাজার ৫০০ টাকা।