আইভি আদক, হাওড়া: হাওড়ার সাঁকরাইলে বিরোধী দলের কাউন্টিং এজেন্টদের গণনা কেন্দ্রের ভিতরে ঢুকতে ‘বাধা’। এর প্রতিবাদে হাওড়ার পাঁচলার ১৬ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিজেপি ও সিপিএম সমর্থকরা। ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। এদিন বিরোধীরা গণনা কেন্দ্রের গেট ভেঙে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ।
ঘটনাস্থলে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর ও পুলিশকে হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে বাম সমর্থকদের উপর। বাম সমর্থকদের অভিযোগ গণনা কেন্দ্রে বাম এজেন্টদের ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছে। তাই তারা জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন। তখন পুলিশ তাদের অবরোধ তুলতে গেলে পুলিশের সঙ্গে বচসা বাধে। তখন বাম সমর্থকরা পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে। এমনকি পুলিশকে ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ উঠে বাম কর্মীদের বিরুদ্ধে। পুলিশ সূত্রের খবর যারা ভোট গণনা কেন্দ্রের কাছে জটলা করছে ও অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে তখনই পুলিশ গিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছে।
হাওড়ার বালি-জগাছা ব্লকের পল্লীমঙ্গল স্কুলে আবারও উত্তেজনা। এবার সিপিএম প্রার্থীকে ভোট দেওয়া ব্যালট পেপার গণনা কেন্দ্রের বাইরে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই নিয়ে স্কুলের গেটের সামনে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে প্রতিবাদে নামে সিপিএম। রীতিমতো রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে হাওড়ার বালি-জগাছা ব্লকের পল্লীমঙ্গল স্কুল।
পল্লীমঙ্গল স্কুলে সকাল থেকেই রণক্ষেত্র চেহারা নেয়। সিপিএম বিজেপি প্রার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি এবং খন্ডযুদ্ধ হয় এখানে। বিরোধীদের অভিযোগ পুলিশ সক্রিয়ভাবে তৃণমূলের হয়ে কাজ করছে। বসতে দিচ্ছে না তাদের এজেন্টদের। শুধু তাই নয় মারধর করে বার করে দেওয়া হচ্ছে। এই নিয়ে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি এবং রণক্ষেত্র হয়ে রয়েছে বালি-জগাছার পল্লীমঙ্গল স্কুল।