পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: খাবার খাওয়ার পর সেই খাদ্য ঠিকমতো হজম না হলে অনেক সময় অ্যাসিডির সমস্যা দেখা দিতে পারে। প্রায়শই এই ধরনের শারীরিক অসুবিধার সম্মুখীন হয় মানুষ। এই অ্যাসিটিডি গলাজ্বালা, বুকজ্বালা, অম্বল নামেই সাধারণের কাছে পরিচিত। তবে এই ধরনের সমস্যা দেখা দিলে হঠাৎ করেই শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। রোগীর বমি ও শরীর আনচান করতে করে। আবার অনেক সময় হালকা জ্বরও আসতে পারে। রাস্তাঘাটে এই ধরনের সমস্যা হলে আরও অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয় মানুষকে।
প্রধানত জীবনযাত্রায় অনিয়মের কারণে আজকাল বেশিরভাগ মানুষকেই বদহজমের সমস্যায় ভুগতে দেখা যায়। কর্মব্যস্ততার জন্য অনেকে স্বাস্থ্যের প্রতি সঠিক যত্ন, বা খাওয়া-দাওয়ার সঠিক সময় পান না। এছাড়াও খাওয়াদাওয়ার অনিয়ম, ঘুম ভালোভাবে না হওয়া, অত্যাধিক পরিমাণে ফাস্টফুড খাওয়া, রাতে দেরিতে ঘুমোনো, বিভিন্ন অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, পর্যাপ্ত ঘুমের সমস্যার কারণে বদহজম, অ্যাসিটিডির প্রবণতা দেখা দেয়।
তবে অনেক সময় এটি দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। এর ফলে গ্যাস্ট্রিক গ্রন্থিগুলি হজম প্রক্রিয়ার জন্য প্রয়োজনীয় অ্যাসিডের চেয়ে বেশি অ্যাসিড তৈরি করে। আর অ্যাসিডিটি বা বদহজমের সমস্যা হলেই বুকজ্বালা ও পিঠের দিকে ব্যথা হতে শুরু করে।
তবে শরীর থাকলে তা অসুস্থ হতেই পারে। এই নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করার প্রয়োজন নেই। কারণ সমস্যা যাই হোক না কেন লক্ষ্য তার সমস্যার সমাধান। পুষ্টিবিদেরা এই অ্যাসিডিটি বা বদহজমজনিত সমস্যার সমাধানে কয়েকটি টিপস দিয়েছেন।
পুষ্টিবিদ অঞ্জলি মুখোপাধ্যায় এমন কয়েকটি উপায়ের পরামর্শ দিয়েছেন যার মাধ্যমে আমরা বুকজ্বালা, অম্বল থেকে মুক্তি পেতে পারি। পুষ্টিবিদ অঞ্জলি জানিয়েছেন, অ্যাসিড, বুকজ্বালা একটি দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা হতে পারে, যদি না সেই সমস্যা নিয়ন্ত্রণে প্রথম থেকেই উপযুক্ত ব্যবস্থা না গ্রহণ করা হয়। সমস্যা এড়াতে আমাদের জীবনযাত্রায় কয়েকটি পরিবর্তন আনতে হবে:
হালকা খাবার: হালকা সহজপাচ্য খাবার খেতে হবে। কারণ ভারী খাবার অনেক সময়ে হজমে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে। ক্যাফাইন, চকোলেট জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো । অম্ল জাতীয় ফল: অম্ল বা টক জাতীয় ফল যেমন কমলা, লেবু, আঙুর ও ফলের জুস এড়িয়ে চলা উচিত।
ফ্রাইড ফুড, অ্যালকোহল: অতিরিক্ত তেলে ভাজা খাবার, মদ, চর্বিযুক্ত খাবার থেকেও অনেক সময় বদহজম দেখা দেয়। এছাড়াও পেঁয়াজ, টমেটো, গরম মশলা দিয়ে রান্না করা খাবার থেকেও অ্যাসিডিটির সমস্যা হতে পারে।
ওজন হ্রাস: শারীরিকভাবে অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধিও এর অন্যতম কারণ। তাই বুকজ্বালার সমস্যাগুলি মোকাবিলা করার আগে উচিত ওজন কমানো।
আঁটোসাঁটো পোশাক: পোশাকের কারণে পেটে চাপ পড়তে পারে। শরীর হাঁসফাঁস করে। তাই ঢিলেঢালা, আরামদায়ক পোশাক পরলে ভালো।
বিশ্রাম: অম্বল বা বুকজ্বালা হলে চিৎ হয়ে না শুয়ে পাশ ফিরে শুয়ে পড়া উচিত।