পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ লখিমপুর খেরি হিংসার ঘটনার স্বতঃপ্রণোদিত মামলার করেছে সুপ্রিম কোর্ট। শুনানি চলবে শুক্রবারও। বুধবার সন্ধ্যায় এই বিষয়ে প্রধান বিচারপতি এনভি রমনার এজলাসে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা নথিভুক্ত হয়। সেই মামলারই শুনানি শুরু হয় প্রধান বিচারপতি এনভি রমনা, বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং বিচারপতি হিমা কোহলীর বেঞ্চে। শীর্ষ আদালত উত্তরপ্রদেশ সরকারের কাছে জানতে চায়, লখিমপুর খেরি হিংসার ঘটনায় কত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে? এ বিষয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্টেটাস রিপোর্টও তলব করেছে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। শুক্রবার ফের মামলার শুনানি।
শুনানির শুরুতেই প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘গত মঙ্গলবার দু’জন আইনজীবী এই বিষয়ে আদালতকে চিঠি দিয়েছিলেন। আমি সেই চিঠি রেজিস্ট্রিতে পাঠাই। কিন্তু ভুল বোঝাবুঝির কারণে মামলাটি জনস্বার্থ হিসেবে নথিভুক্ত না হয়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়।’’
কৃষক এবং অন্যান্য ব্যক্তিদেরও হত্যা করা হয়েছে। আমাদের জানতে হবে কাদের কাদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে এবং কারা করা গ্রেফতার হয়েছে।
অবিলম্ব্বে এ বিষয়ে একটি স্ট্যাটাস রিপোর্ট দিন” বলেছে সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ। এই বেঞ্চে প্রধান বিচারপতি রামানা ছাড়া রয়েছেন বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং বিচারপতি হিম কোহলি।
অতিরিক্ত অ্যাভোকেট জেনারেল গরিমা প্রসাদ বৃহস্পতিবার কোর্টে বলেন, ব্যাপারটি অত্যন্ত দুঃখজনক। তবে ইতিমধ্যেই এফআইআর দায়ের হয়েছে। প্রধান বিচারপতি বলেন, অনেকের অভিযোগ ঠিকভাবে এফআইআর দায়ের হয়নি। এক্ষত্রে জুডিশিয়াল কমিশন ঠিক কি বলছে। অতিরিক্ত অ্যাভোকেট জেনারেল উত্তরে বলেন, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ব্যাপারটা দেখছেন। তখন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বলেন ইলাহাবাদ হাইকোর্টে এ বিষয়ে যে জনস্বার্থ মামলা পরে রয়েছে তা সুপ্রিম কোর্টে পেশ করুন। সেখানে ঠিক হয়েছে তা জানান।
প্রধান বিচারপতি ভার্চুয়াল শুনানিতে অ্যাডভোকেট অমৃতপাল সিং খালসার একটি মেসেজ পথ করেন। যেকানে বলা হয়েছে, এই হিমসার ঘটনায় অন্যতম নিহত লাভপ্রীত সিংয়ের মায়ের অবস্থা খুবই সংকটজনক। প্রধানবিচারপতি বলেন , অবিলম্বে নিকটবর্তী হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসার বন্দোবস্ত করা হোক।
৩ অক্টোবর উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরিতে কৃষকদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলাকালীন একটি গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে ৪ জন কৃষকের মৃত্যু হয়। গোলমালে আরও ৪ জন-সহ মোট ৮ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। ঘটনায় নাম জড়িয়ে যায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনি এবং তাঁর ছেলের।