নয়াদিল্লি: দেশে লাগামহীন ভাবে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। করোনার নতুন প্রজাতি ওমিক্রন অতি দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে। এই পরিস্থিতিতে সোমবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানায় যে, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে ভারতে হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত রোগী ভর্তির হার ৫-১০ শতাংশ। তবে একইসঙ্গে দেশবাসীকে সতর্ক করে দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। যদিও পরিস্থিতি খারাপ হলে হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত রোগী ভর্তির এই প্রয়োজনীয়তা দ্রুত পরিবর্তিত হতে পারে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। সরকার বলেছে যে এই মুহূর্তে পরিস্থিতি সম্পর্কে নিশ্চিত কিছু বলা যাচ্ছে না। আগামীতে দ্রুত পরিস্থিতি পরিবর্তন হতে পারে। হঠাৎ করে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা বাড়তে পারে। এছাড়া কেন্দ্র রাজ্যগুলিকে দৈনিক ভিত্তিতে মোট সক্রিয় মামলা, হাসপাতালে ভর্তির মামলা, হোম আইসোলেশনে রোগীর সংখ্যা, অক্সিজেন শয্যা, আইসিইউ শয্যা এবং ভেন্টিলেটর সমর্থন অবস্থা সহ সমস্তকিছু পর্যবেক্ষণ করতে বলেছে। দেশে করোনার ক্রমবর্ধমান মামলার পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্র সরকার রাজ্যগুলিকে এই পরামর্শ জারি করেছে।
প্রতিদিন এই বিষয়গুলির উপর নজর রাখতেও বলা হয়েছে। প্রয়োজনে কোভিড কেয়ার সেন্টারগুলিকে অক্সিজেন যুক্ত বেডের সংখ্যা বাড়াতে হবে বলে রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। তার উপর পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য পরিষেবা নিশ্চিত করতে জুনিয়র ডাক্তার, নার্সিং এবং এমবিবিএস পড়ুয়াদের কাজে লাগানোর উপরেও জোর দিচ্ছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক রাজ্যগুলিকে একটি চিঠি লিখে জানিয়েছে যে প্রয়োজনে কোভিড টিকা কেন্দ্রগুলি রাত ১০ টা পর্যন্ত খোলা রাখা যেতে পারে। কোভিড টিকা কেন্দ্রের বন্ধ করার বা খোলার সময় নির্দিষ্ট নয়। এটি প্রয়োজন অনুযায়ী ঠিক করা যেতে পারে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। উল্লেখ্য, এর আগে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময়, সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী হাসপাতালে ভর্তির হার ছিল ২০-৩০ শতাংশের মধ্যে।
অন্যদিকে সোমবার সকালে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে ১ লাখ ৭৯ হাজার মানুষ নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। দৈনিক পজিটিভিটি রেটও হু হু করে বেড়েছে। সোমবারের পজিটিভিটি রেট ছিল ১৩.২৯ শতাংশ। যা থেকে স্পষ্ট যে কতটা দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে করোনার সংক্রমণ।