পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: কেন্দ্র-রাজ্য টানাপোড়েনের আবহে নবান্নে পূর্বাঞ্চলীয় পর্ষদের বৈঠক সম্পন্ন হল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপস্থিতিতে শনিবার সকাল ১১টা থেকে শুরু হয়ে এই বৈঠক চলে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত। কেন্দ্র রাজ্য-টানাপোড়েনের এই আবহে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। তবে বৈঠকে যোগ দেননি ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক এবং বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার।
দুই মুখ্যমন্ত্রীর বদলে বৈঠকে যোগ দিয়েছেন দুই রাজ্যের দুই মন্ত্রী। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সরেন এবং বাংলার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করছেন অমিত শাহ। বৈঠকে উপস্থিত বিজয় চৌধুরী, বিহারের অর্থমন্ত্রী, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যসচিব সুখদেব সিং, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লা, বিহারের মুখ্যসচিব আমির শেখবানী-সহ প্রমুখরা।
প্রধানত, সীমান্তে চোরাচালান বন্ধ থেকে গরু পাচার রোধ নিয়ে কথাবার্তা হয়েছে। এছাড়াও ১০০ দিনের কাজ নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এছাড়াও রাস্তাঘাট, বিদ্যুৎ, সহ জল নিয়েও কথোপকথন চলেছে। মিনিট চল্লিশের বেশি সময় ধরে এদিন নবান্নে বৈঠক হল পূর্বাঞ্চলীয় পরিষদের।
অমিত শাহর সভাপতিত্বে ওই বৈঠকে কী কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তা নিয়ে এখনও রাজ্য বা কেন্দ্রের তরফে কোনও বিবৃতি প্রকাশ করা হয়নি। তবে সূত্রের খবর, রেল এবং কেন্দ্রীয় সরকারের অন্যান্য অব্যবহৃত জমির প্রসঙ্গটি রাজ্যের তরফে তুলে ধরা হয় বৈঠকে। পাশাপাশি পাচার সমস্যা মোকাবিলায় রাজ্য পুলিশ ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর দায়িত্ব সংক্রান্ত বিষয়টিও বৈঠকে তুলে ধরা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।এদিন দুপুর ২.১০ মিনিটে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে ঢোকেন অমিত শাহ। প্রায় কুড়ি মিনিট সেখানে ছিলেন অমিত শাহ।
বৈঠকের শুরুতেই অমিত শাহ বলেন, বিএসএফ-কে সহযোগিতা করুন। এক দেশ, এক পুলিশ, এই ভাবনায় নতুন বিল সহ ১৬টি বিল আনছে কেন্দ্র। সেই বিলের বিরোধিতা করা হবে সংসদে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
শুক্রবার রাজ্য এসেই বঙ্গ বিজেপির নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন অমিত শাহ। বিজেপির রাজ্য দফতরে আধঘণ্টারও বেশি সময় আলোচনায় যোগ দেন তিনি। সুকান্ত, শুভেন্দু, দিলীপ সহ রাজ্যের শীর্ষ নেতারা ছিলেন বৈঠকে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে দলীয় সংগঠনকে ঢেলে সাজাতে একসঙ্গে কাজ করার বার্তা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।