পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: হিন্দু–মুসলিম বিবাহ নিয়ে রাজনীতি ও বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগ উঠল কর্নাটকের বিজেপি নেত্রী মালবিকা অভিনাশের বিরুদ্ধে।
পুত্তুর এলাকায় নারী শক্তি সঙ্গম শীর্ষক একটি সম্মেলনে ভাষণ দেওয়ার সময় মুসলিমদের সম্পর্কে তীব্র ভুল ধারণা ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন মালবিকা। মালবিকা বলেন, হিন্দু ধর্মে মহিলা ও পুরুষকে সমানাধিকার দেওয়া হয়েছে। ইসলামে তা নেই। ফলে কোনও হিন্দু নারী মুসলিম ছেলেকে বিয়ে করলে সে তার অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে।
তিনি বলেন, মুসলমান ছেলেকে বিয়ে করার জন্যে যদি ধর্মপরিবর্তন করতে হয়, তাহলে এমন ভালোবাসার কি অর্থ? শর্ত দিয়ে তো ভালোবাসা যায় না।
হিন্দু মেয়েদের উদ্দেশ্যে তার পরামর্শ, ‘মুসলিম ছেলেদের বিয়ে করার আগে পরিণতি সম্পর্কে সতেচন হন’। তার মতে, হিন্দু ধর্ম এক বিবাহের কথা বলে। অথচ ইসলামে বহুবিবাহের প্রচলন আছে। অতএব কোনও হিন্দু মেয়ে যদি এমন কাজ করে, তবে সে বহুবিবাহের কুফল ভুগবে। হিন্দু মেয়েদের ভালোবাসার প্রকৃত অর্থ বোঝার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন মালবিকা। তিনি বলেছেন, সবরিমালা মন্দিরে একটি নির্দিষ্ট বয়সের পর মেয়েদের ঢুকতে দেওয়া হয় না। আর মসজিদে নাকি মেয়েদের পা রাখতেই দেওয়া হয় না। এসব তথ্য তিনি কোথা থেকে পেলেন তা অবশ্য জানাননি বিজেপি নেত্রী। তার মতে, হিন্দু মহিলারা সম্পত্তিতে পুরুষের সমান অধিকার পায়, কিন্তু ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলে তারা আর সেই সুবিধা পাবে না।
উল্লেখ্য, হিন্দু ধর্মে যখন কুলীন ব্রাহ্মণরা শতাধিক বিবাহ করত। তখনও ইসলাম সর্বাধিক চারজন নারিকে বিয়ের অনুমতি দিয়েছিল। ১৯৫৫ সালে আইন এনে হিন্দুদের বহুবিবাহ রোখার চেষ্টা করা হয়েছে।মসজিদেও পাক–সাফ অবস্থায় মহিলারা ঢুকতে পারেন। শুধু তাই নয়, মসজিদে মহিলাদের নামাজ পড়ার অধিকারও আছে।
বিজেপি নেত্রী কিছু না জেনেই এমন উগ্র মন্তব্য করলেন, নাকি হিন্দুত্বের পালে হাওয়া দিতেই এমনটা করলেন, তাই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।