পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ ইউএস হাউস ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান গ্রেগরি মিক্স বৃহস্পতিবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব পরার বিষয়ে কর্ণাটক হাইকোর্টের সিদ্ধান্তে হতাশা প্রকাশ করে বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সীমিত করবে এবং কার্যকরভাবে মেয়েদের তাদের ধর্ম এবং শিক্ষার অধিকারের মধ্যে বেছে নিতে বাধ্য করবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশ দফতর বিষয়ক হাউস কমিটি বৈদেশিক নীতি আইন প্রণয়ন এবং তদারকি করে থাকে।
মার্কিন কংগ্রেসম্যান বলেন, আদালতের মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সীমিত করার সিদ্ধান্তে হতাশ, মেয়েদের ধর্ম এবং তাদের শিক্ষার অধিকারের মধ্যে কার্যকরভাবে বেছে নিতে হবে। তিনি বলেন, আমেরিকা, ভারতে বা যেখানেই হোক না কেন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সঙ্গে কীভাবে আচরণ করা হয় তা হল একটি সমাজের প্রকৃত পরিমাপ।
মার্কিন কংগ্রেসম্যান ২০২১ সাল থেকে ইউএস হাউস কমিটি অন ফরেন অ্যাফেয়ার্সের সভাপতিত্ব করছেন।
মঙ্গলবার কর্ণাটক হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ঋতু রাজ অবস্থি, বিচারপতি কৃষ্ণ এস দীক্ষিত এবং বিচারপতি জেএম খাজির একটি বেঞ্চ বলেছে, ইউনিফর্ম নির্ধারণ একটি যুক্তিসঙ্গত বিধিনিষেধ যার উপর ছাত্ররা আপত্তি করতে পারে না এবং আদালত হিজাবের নিষেধাজ্ঞাকে চ্যালেঞ্জ করে বিভিন্ন পিটিশন খারিজ করে দিয়েছে।
আদালতের রায়ে বলা হয়েছে কর্ণাটক হাইকোর্ট পর্যবেক্ষণ করেছে যে পবিত্র কুরআন হিজাব পরা বাধ্যতামূলক করে না, এবং বলে যে এটি একটি সাংস্কৃতিক অনুশীলন এবং সামাজিক নিরাপত্তার পরিমাপ হিসেবে একটি পোশাক হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে হিজাব বিতর্ক শুরু হয়েছিল যখন কর্ণাটকের উডুপির সরকারি পিইউ কলেজে হিজাব পরা ছয় ছাত্রীকে প্রবেশে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এরপর কলেজে ঢুকতে না দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে কলেজের বাইরে ওই ছাত্রীরা ধর্না-অবস্থানে বসেন।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব পরার অনুমতি চেয়ে কিছু ছাত্রী কর্ণাটক হাইকোর্টে সরকারের আদেশের বিরুদ্ধে পিটিশন দাখিল করেছিল।
১০ ফেব্রুয়ারি, হাইকোর্ট একটি অন্তর্বর্তী আদেশ জারি করে জানিয়েছিল, আদালত চূড়ান্ত আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত ক্লাসে শিক্ষার্থীদের কোনও ধর্মীয় পোশাক পরা যাবে না। হিজাব সংক্রান্ত মামলার শুনানি ২৫ ফেব্রুয়ারি শেষ হয় এবং আদালত তার রায় সংরক্ষণ করে। এরইমধ্যে কর্ণাটক হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে আবেদনকারীরা। হোলির ছুটির পরে ওই বিষয়ে শুনানি হতে পারে।