পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ বিজেপি নেতা এবং উদুপি সরকারি প্রাক-বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ উন্নয়ন কমিটির সহ-সভাপতি যশপাল সুবর্ণ দাবি করেছেন, হিজাব নিষিদ্ধের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়া মেয়েরা “দেশবিরোধী” এবং “একটি সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্য”।
বিজেপি ওবিসি মোর্চার সাধারণ সম্পাদক সুবর্ণা সাংবাদিকদের বলেছেন, “মেয়েরা আরও একবার প্রমাণ করেছে যে তারা ছাত্র নয়, সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সদস্য। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়ে তারা বিজ্ঞ বিচারপতিদের অবজ্ঞা করছেন। তাদের বক্তব্য আদালত অবমাননার শামিল।”
মঙ্গলবার হাইকোর্ট মেয়েদের দায়ের করা আবেদন খারিজ করে বলেছে, হিজাব ইসলামের একটি অপরিহার্য ধর্মীয় অনুশীলন নয় এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাথার স্কার্ফ পরার নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখেছে।
তিনি বলেন, “এই ছাত্ররা যখন বিজ্ঞ বিচারকদের দেওয়া রায়কে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং আইনের পরিপন্থী বলে অভিহিত করে, তখন দেশের জন্য তাদের কাছ থেকে আমাদের কী আশা করা উচিত? তারা প্রমাণ করেছে যে তারা দেশবিরোধী।”
এদিকে,কর্নাটকের এক মুসলিম ছাত্রীর প্রথমবার হিজাব খুলে ক্লাসে বসার অভিজ্ঞতাটা ছিল অন্যরকম। মঙ্গলবার কর্নাটক হাইকোর্ট রাজ্য সরকারের শ্রেনীকক্ষে হিজাবের উপর নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখেছে। তার পরদিন থেকেই রাজ্যের স্কুল ও কলেজে সেই আদেশ প্রয়োগ করা শুরু হয়েছে। তাই, হিজাব নিয়ে রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশের অধিকার আর নেই।
এতে করে বিভ্রান্তিতে পড়েছে মুসলিম ছাত্রীরা। কেউ কেউ স্কুল ছেড়ে দেওয়ার বা পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। কেউ পড়াশোনাই বন্ধ করে দেওয়ার কথা ভাবছে। আর বাকিরা, হিজাব খুলে রেখেই ক্লাস করতে বাধ্য হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে হিজাব খোলার জন্য আলাদা ঘর প্রস্তুত করা হয়েছে। সেই ঘরে হিজাব রেখে ক্লাসে যাচ্ছেন মুসলিম ছাত্রীরা। এরকমই একজন সানা কওসর। উদুপির সরকারি এমজিএম কলেজের ছাত্রী তিনি।
তিন বছর ধরে তিনি হিজাব পরা শুরু করেছেন। এদিন হঠাৎ করে প্রকাশ্যে হিজাব ছাড়া থাকতে অস্বস্তি হয়েছে তাঁর। তিনি খুব কষ্ট পেয়েছেন।