পুবের কলম প্রতিবেদক: বাংলায় বর্ষা ঢুকলেও এখনও সেইভাবে টানা বৃষ্টির দেখা এখনও মিলল না। কলকাতায় আংশিক মেঘলা আকাশ। বজ্রগর্ভ মেঘ থেকে দু-এক পশলা হালকা বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা রয়েছে। বাতাসে জলীয় বাষ্প বেশি থাকায় আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বাড়বে। বাড়বে দিন ও রাতের তাপমাত্রা। আগামী ২৪ ঘণ্টায় কলকাতা শহরে তাপমাত্রা থাকবে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।
আজ সকালে কলকাতা শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭. ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি উপরে। গত মঙ্গলবার বিকেলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি উপরে। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৬১ থেকে ৮৯ শতাংশ।
উত্তরবঙ্গে বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। শুক্রবার থেকে বৃষ্টি বাড়বে। দক্ষিণবঙ্গে আপাতত ভারী বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। বাড়বে গরম এবং আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি। দক্ষিণবঙ্গে আগামী দুদিন বৃষ্টি কমবে। বাড়বে তাপমাত্রা সঙ্গে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি, এমনই পূর্বাভাস। বৃহস্পতিবারের মধ্যে তাপমাত্রা ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছতে পারে। সঙ্গে আর্দ্রতা ৯৫ শতাংশর কাছাকাছি। মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার ৫-১০ মিনিটের জন্য বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
আপাতত ৪-৫ দিন ভারী বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই দক্ষিণবঙ্গে, জানিয়েছে হাওয়া অফিস। শুক্র ও শনিবার বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে দক্ষিণবঙ্গে। মৌসুমী অক্ষরেখা আজ থেকে আবার উত্তর দিকে ক্রমশ সরবে। এই মুহূর্তে মৌসুমী অক্ষরেখা আজমির ডালটনগঞ্জ জামশেদপুর এর ওপর দিয়ে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে বিস্তৃত রয়েছে। একটি সক্রিয় পশ্চিমী ঝঞ্ঝা উত্তর-পশ্চিম ভারতের প্রবেশ করছে। একটি নিম্নচাপ এলাকা রয়েছে উত্তর-পশ্চিম আরব সাগরে। এছাড়াও দক্ষিণ ভারতে কিছু ঘূর্ণাবর্ত এবং অক্ষরেখা রয়েছে।
উত্তরবঙ্গে বিক্ষিপ্ত ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। দার্জিলিং কালিম্পং সহ পার্বত্য এলাকায় দু-এক পশলা ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে বলে অনুমান আবহাওয়াবিদদের। শুক্রবার থেকে বৃষ্টি বাড়বে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে। ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং জলপাইগুড়ি ওপরের দিকের পাঁচ জেলায়।