পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ প্রবীণ আরএসএস নেতা ইন্দ্রেশ কুমার হরিদ্বারে সাম্প্রতিক ধর্ম সংসদে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ঘৃণামূলক বক্তব্যের নিন্দা করেছেন৷ তিনি বলেছেন, যে যারা উস্কানিমূলক এবং বিভাজনমূলক মন্তব্য করে তাদের সকলকে আইন অনুসারে শাস্তি দেওয়া উচিত। এই প্রথম আরএসএসের কোনও শীর্ষস্থানীয় গুরুত্বপূর্ণ নেতা হরিদ্বার ধর্ম সংসদের বিদ্বেষ ভাষণের বিরোধিতা করল৷ এক সাক্ষাৎকারে তিনি ঘৃণার রাজনীতিকে ‘দুর্নীতি’ হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন৷ সমস্ত রাজনৈতিক দল এবং তাদের নেতাদেরকে ঘৃণা ছড়ানো এবং সমাজের এক অংশকে অন্যের বিরুদ্ধে দাঁড় করানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন এই আরএসএস নেতা৷
প্রসঙ্গত, তিনি আরএসএসের সংখ্যালঘু শাখা মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা৷ সম্প্রতি হরিদ্বার, রায়পুর ধর্ম সংসদ থেকে দেশের মুসলমানদের গণহত্যার ডাক দিয়েছে হিন্দুত্ববাদী বক্তারা৷ এ নিয়ে তীব্র সমালোচনার ঝড় উঠেছে দেশজুড়ে৷
রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের এই জাতীয় কার্যনির্বাহী সদস্য আরও বলেছেন, কোনও সম্প্রদায়, বর্ণ বা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক এবং বিভেদমূলক মন্তব্য করার পরিবর্তে তাদের দেশ ও এর জনগণের সর্বোত্তম স্বার্থে ভ্রাতৃত্ব এবং উন্নয়নের রাজনীতির অনুশীলন করা উচিত। যেকোনও ধরনের বিদ্বেষমূলক বক্তব্য নিন্দনীয়। সমস্ত ঘৃণাত্মক বক্তব্যের নিন্দা এবং আইন অনুযায়ী শাস্তি হওয়া উচিত। কাউকে ব্যতিক্রম হিসাবে বিবেচনা করা উচিত নয়৷ কুমার আরও বলেন যে নিষ্ঠুর ঘৃণামূলক বক্তৃতার একাধিক উদাহরণ রয়েছে৷ এই জাতীয় সমস্ত বিভাজনমূলক কাজের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া সময়ের প্রয়োজন৷ কারণ এগুলি দেশের পরিবেশকে খারাপ করে। তিনি কংগ্রেস এবং অন্যান্য বিরোধী দলগুলিকে মহাত্মা গান্ধির হত্যার জন্য আরএসএস এবং এর মতাদর্শকে দায়ী করার জন্য নিন্দা করেন৷ বলেন, তারা ভিত্তিহীন অভিযোগ তৈরি করছে৷ যদিও অভিযোগ প্রমাণ করার জন্য তাদের কাছে কোনও প্রমাণ নেই৷ ৬০ বছরেরও বেশি সময় ধরে আমরা শুনে আসছি যে মহাত্মা গান্ধিকে হত্যার পিছনে আরএসএস এবং তার আদর্শ কাজ করেছিল। সংঘের উপর নিষেধাজ্ঞাও জারি করা হয়েছিল। কিন্তু কংগ্রেস এবং অন্যান্য দল এত বছর ক্ষমতায় থাকার পরেও তা প্রমাণ করতে পারেনি৷ এই সমস্ত অভিযোগকেও তিনি বিদ্বেষ ভাষণের সঙ্গে তুলনা টেনেছেন৷