পুবের কলম প্রতিবেদক: দহনজ্বালা থেকে মুক্তি, বৃষ্টিস্নাত আবহে কাটবে খুশির ঈদ। মঙ্গলবার রাজ্যে সব জেলাতেই চলবে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি। রয়েছে কালবৈশাখীর পূর্বাভাস। ৬০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝোড়ো হাওয়া বওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই আবহে কমবে তাপমাত্রা। আগামী ক’দিন চার ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা। তবে জলীয় বাষ্পের পরিমান বেশি থাকায় অস্বস্তি থাকবে দুপুরের দিকে। সোমবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রবিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে জলীয়বাষ্পের সর্বোচ্চ পরিমাণ ছিল ৯৩ শতাংশ। বৃষ্টি হয়েছে ১৭.৩ মিলিমিটার।
তাপপ্রবাহের আতঙ্ক আগামী কয়েকটি দিন অতীত হয়েই থাকবে। ফলে খুশির ঈদে খুশির আবহাওয়া বজায় থাকবে দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের আবহাওয়াবিদ সৌরিশ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘দক্ষিণ আন্দামান সাগরে আগামী বুধবার একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যা আরও দু’দিন পরে অর্থাৎ ৬ মে নাগাদ একটি নিম্নচাপে পরিণত হবে। পরবর্তীকালে এটি আরও শক্তি বাড়াতে পারে। আন্দামান সাগর এরপর দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর এবং মধ্য বঙ্গোপসাগর পেরিয়ে উত্তর বঙ্গোপসাগরে আসতে পারে সেই ঘূর্ণিঝড়। আপাতত অভিমুখ বাংলা বা উড়িষ্যা উপকূলের দিকে হতে পারে এমনই সম্ভাবনা। ফলে দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে এই কদিন বৃষ্টি বজায় থাকবে।’
মৌসম ভবনের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী কদিন বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ বঙ্গের সব জেলাতে। বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া শিলা বৃষ্টির সম্ভাবনা। দার্জিলিং-কালিম্পং ছাড়া রাজ্যজুড়ে কালবৈশাখীর সর্তকতা রয়েছে। ভারী বৃষ্টি হতে পারে উত্তরবঙ্গের কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে। থাকছে কালবৈশাখীর সম্ভাবনাও।
অন্যদিকে, আগামী চার পাঁচ দিন বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে উত্তর-পূর্ব ভারত এবং সিকিমে। মঙ্গলবার অরুণাচল প্রদেশে প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা বুধবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আসাম ও মেঘালযয়ে। মঙ্গল ও বুধবার ভারী বৃষ্টি হতে পারে নাগাল্যান্ড-মণিপুর-মিজোরাম এবং ত্রিপুরা রাজ্যে।