পুবের কলম প্রতিবেদকঃ গুরু নানকের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে সোমবার শহিদ মিনারের অনুষ্ঠানে যোগ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শিখ ধর্মগুরু গুরু নানকের ৫৫৩ তম জন্মোৎসব উপলক্ষে এদিন শিখদের শুভেচ্ছা জানান মুখ্যমন্ত্রী।
এদিনের অনুষ্ঠানে শিখ ধর্মগুরুদের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করেন মমতা। তিনি বলেন, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে সবার আগে রয়েছে পঞ্জাব ও বাংলার নাম। গুরু নানক জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে সবাইকে অভিনন্দন জানান মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার মমতার নদিয়া সফর। সে কারণে সোমবারই এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। হালুয়া খাওয়ার আবদারও করেন মমতা। বলেন, আমাকে হালুয়া পাঠিয়ে দেবেন তো।
শিখদের অনুষ্ঠানে মমতা বলেন, গুরুনানকজি, গুরু তোগবাহাদুরজি, ভগত সিংজি, সবাই পঞ্জাবের মানুষ। স্বাধীনতার যুদ্ধে শহিদ ভগত সিংজির সঙ্গেও বাংলার সম্পর্ক রয়েছে।
আন্দামানের সেলুলার জেলে গেলে দেখবেন যারা স্বাধীনতার সংগ্রামে এগিয়ে ছিল তাদের মধ্যে অন্যতম বাংলা ও পঞ্জাব। কবিগুরু যখন জনগণমন লিখেছিলেন তখন আগে এসেছিল পঞ্জাবের নাম। কারণ পঞ্জাবের মানুষ দেশের জন্য প্রাণ দিতেও তৈরি। পঞ্জাবের মানুষ আজও সেনায়, সীমান্তে দেশ রক্ষার কাজ করে চলেছেন। আপনাদের অনুষ্ঠানে এসে আমি খুশি।
এর আগে ছট পুজোয় খ্যমন্ত্রী গঙ্গাতীরের একাধিক ঘাটে গিয়ে পুজো দিয়েছেন। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তাঁর মুখে ঠেকুয়ার প্রতি আকর্ষণের কথা শোনা গিয়েছিল। তিনি বলেছিলেন, ‘ঠেকুয়া খেতে আমি খুব ভালবাসি, কিন্তু বেশি খাই না। মোটা হয়ে যাব এই ভেবে।’
তবে সোমবার হালুয়া চেয়ে নিলেন তিনি। বললেন, ‘আপনারা ভালো করে গুরু পরব করবেন। আর আমার ঘরে হালুয়া পাঠাবেন।’
এদিন মুখ্যমন্ত্রী শিখ ধর্মগুরুদের বলেন, আপনার গুরুনানক ভবনের কথা বলেছিলেন। কলকাতায় একটি গুরুনানক ভবন তৈরির আবেদন করেছিলেন কলকাতাবাসী শিখরা। এনিয়ে মমতা বলেন, আপনারা যা চেয়েছিলেন তার দাম ৬ কোটি টাকা। ওই সম্পত্তি সরকার দিতে পারবে না। তাই আপনাদের কাছে অনুরোধ আরও একটা আবেদন আপনারা করুন। সেখানে গুরুনানক ভবনের পাশাপাশি কোনও জনহিতকর কাজ করার কথা জানান। তাহলে আমি ওই সম্পত্তি এক টাকায় দিয়ে দেব। আবেদনে একটি বদল করলেই সমাধান হয়ে যাবে।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী শিখ ধর্মগুরুদের বলেন, আপনার গুরুনানক ভবনের কথা বলেছিলেন। কলকাতায় একটি গুরুনানক ভবন তৈরির আবেদন করেছিলেন কলকাতাবাসী শিখরা। এনিয়ে মমতা বলেন, আপনারা যা চেয়েছিলেন তার দাম ৬ কোটি টাকা। ওই সম্পত্তি সরকার দিতে পারবে না। তাই আপনাদের কাছে অনুরোধ আরও একটা আবেদন আপনারা করুন।
সেখানে গুরুনানক ভবনের পাশাপাশি কোনও জনহিতকর কাজ করার কথা জানান। তাহলে আমি ওই সম্পত্তি এক টাকায় দিয়ে দেব। আবেদনে একটি বদল করলেই সমাধান হয়ে যাবে। এই দিন শিখ সম্প্রদায়ের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তার পরিবারের সদস্যরা। ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বোন, তার স্ত্রী এবং তার দুই সন্তানও।