পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ ভারতের ধনী ব্যক্তির তালিকায় নিজের নাম ধরে রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত মুকেশ আম্বানি ও গৌতম আদানি। ফোর্বস ম্যাগাজিনের বিচারে ভারতের ১০০ জন ধনী ব্যক্তিদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সেই তালিকায় শীর্ষস্থানে রয়েছে রিলায়েন্স কর্তা মুকেশ আম্বানির নাম। এরপরই রয়েছেন আদানি গোষ্ঠীর কর্ণধার গৌতম আদানি ও এইচসিএলের কর্ণধার শিব নাদার। এই তিন ধনী ব্যক্তির মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১০ হাজার কোটি মার্কিন ডলারের বেশি।
ফোর্বস পত্রিকার বিচারে দেশের শীর্ষ ১০ কোটিপতির তালিকায় একেবারে প্রথমে রয়েছেন মুকেশ আম্বানি। বিশ্বের শীর্ষ ৩৫ কোটিপতির তালিকায় তিনি অবশ্য দশম স্থানে।
তালিকার শীর্ষে থাকা মুকেশ আম্বানির মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৯২.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। মুকেশ আম্বানি ২০২১ সালে তাঁর সম্পদ ৪ বিলিয়ন ডলার বাড়িয়েছেন। তালিকায় ২ নম্বরে রয়েছেন গৌতম আদানি। যাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ৭৪.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তৃতীয় স্থানে থাকা শিল্পপতি শিব নাদারও তৃতীয় স্থান ধরে রেখেছেন। তাঁর মোট সম্পদ এখন ৩১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তবে ২০২০ সালের পর থেকে আদানি গোষ্ঠীর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৫ গুণ। বেড়েছে। এই তিন ধনী ব্যক্তির মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১০ হাজার কোটি মার্কিন ডলারের বেশি।
ফোবর্স তালিকার চতুর্থ স্থানে রয়েছেন ডি মার্টের রাধাকৃষ্ণণ দামানি (২৯.৪ বিলিয়ন), পঞ্চম স্থানে সেরাম ইনস্টটিউটের কর্ণধার সাইরাস পুনাওয়ালা (১৯ বিলিয়ন), ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম, নবম ও দশম স্থানে রয়েছেন যথাক্রমে লক্ষ্মী মিত্তাল (১৮,৮ বিলিয়ন), সাবিত্রী জিন্দাল (১৮ বিলিয়ন), উদয় কোটাক (১৬.৫ বিলিয়ন), পালনজি মিস্ত্রি (১৬.৪ বিলিয়ন) ও কুমার বিড়লা (১৫.৮ বিলিয়ন)। ওপি জিন্দাল গ্রুপের চেয়ারপার্সন সাবিত্রী জিন্দাল আবারও ১০ ধনী ভারতীয়র ক্লাবে চলে এসেছেন।
ভারতের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের সমষ্টিগত সম্পদ করোনা অতিমারির দ্বিতীয় বছরে ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফোর্বসের বিচারে, ভারতের ১০০ জন ধনীর মোট সম্পদের মূল্য ৭৭৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
উল্লেখ্য, করোনা পরিস্থিতির কারণে যে দুজনের সম্পত্তির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে, তাঁরা হলেন সিরাম ইনস্টিটিউটের প্রধান সাইরাস পুনেওয়ালা ও সান ফারমোসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজের প্রধান দিলীপ সাংভি। এই দুই সংস্থা ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থার তৈরি ভ্যাকসিন বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ হচ্ছে।
ভারতে কোটিপতির সংখ্যা গত বছরের তুলনায় বেড়েছে। গত বছর যেখানে কোটিপতির সংখ্যা ছিল ১০২ জন, সেখানে চলতি বছরে কোটিপতি সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪০ জন।