পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: সারা দেশে দাম কমল বেশ কিছু জীবনদায়ী ওষুধের। সাধারণ মানুষকে সুখবর দিল ভারতের ওষুধ সংস্থাগুলি। এক বছরে ওষুধ কোম্পানিগুলি চারটি বিরল রোগের ওষুধ তৈরি করেছিল। জেনেটিক ও শিশু রোগের এইসব ওষুধের দাম কমানো হয়েছে। যার ফলে এই ধরনের অসুখের চিকিৎসার খরচ ১০০ গুণ কমে যাবে।
টাইরোসিনেমিয়া টাইপ ১-এর চিকিৎসায় আগে যেখানে বছরে ২.২ কোটি থেকে ৬.৫ কোটি টাকা ব্যয় হত, এখন সেই খরচ একধাক্কায় কমে হবে আড়াই লক্ষ টাকা। সঠিক সময়ে এই রোগের চিকিৎসা না হলে শিশুর ১০ বছরের মধ্যে মারা যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এই রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয় ‘নিটিসিনোন’ নামের ওষুধ।
অন্য তিনটি বিরল রোগ হল গাউচার’স ডিজিজ অর্থাৎ লিভার বা প্লীহা বড় হয়ে যাওয়া ও হাড়ের ব্যথা। উইলসন’স ডিজিজ, যে রোগে লিভারে তামা জমাট বাঁধে এবং মানসিক সমস্যা তৈরি হয়, এবং ড্রাভেট/লেনোক্স গ্যাস্টাট সিনড্রোম, যা জটিল খিঁচুনির সম্ভাবনা তৈরি করে।
গাউচার রোগের ওষুধ হল এলিগলাস্ট্যাট ক্যাপসুল। যার পিছনে বছরে খরচ হত ১.৮-৩.৬ কোটি টাকা। আগামী দিনে তা কমে হতে চলেছে ৩ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা। একইভাবে উইলসন রোগের জন্য ট্রিয়েনটাইন ক্যাপসুল প্রয়োজন। প্রতিবছর এই রোগের খরচ ছিল প্রায় ২.২ কোটি টাকা। যা কমে হচ্ছে ২.২ লক্ষ টাকা। ড্রেভেটের জন্য খরচও কমে হতে চলেছে ১.৫ লক্ষ টাকা।