পুবের কলম প্রতিবেদকঃ স্বাস্থ্যক্ষেত্রে অসাধারণ সামাজিক দায়বদ্ধতার স্বীকৃতিস্বরূপ পুরস্কৃত হল জিডি হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াবেটিস ইন্সটিটিউট। জিডি হাসপাতালের সিইও মুশরেফা হোসেনের হাতে এই পুরস্কার তুলে দিয়েছে এবিপি আন¨ গোষ্ঠী। ‘এবিপি আন¨ স্বাস্থ্য সম্মান ২০২২’ পুরস্কারটি পেয়ে মুশরেফা হোসেন জানান, আমরা এমন একটি ক্ষেত্রতে কাজ করি যা শুধু মানসিকভাবে ক্লান্তিকর তা-ই নয়, শারীরিকভাবেও শ্রমসাধ্য। নিজেদের আরাম-আয়েশ যতটা সম্ভব ত্যাগ করেই আমরা মানুষের সেবা করে চলি। তারপর এভাবে কেউ পিঠ চাপড়ে দিলে তা আমাদের অনুপ্রাণিত করে আগামীর লড়াইয়ের জন্য।
মধ্য কলকাতার লেনিন সরণিতে অবস্থিত পতাকা শিল্পগোষ্ঠীর জিডি হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াবেটিস ইন্সটিটিউট এখন স্বাস্থ্য পরিষেবায় একটি উল্লেখযোগ্য নাম। স্বল্প সময়ের মধ্যেই রাজ্যের মানুষের কাছে ভরসার স্থল হয়ে উঠতে পেরেছে এই হাসপাতালটি।
বিশিষ্ট শিল্পপতি মোস্তাক হোসেনের পতাকা গোষ্ঠীর এই হাসপাতালটিতে রয়েছে আধুনিক চিকিৎসাব্যবস্থা। মোস্তাক হোসেন শিক্ষাক্ষেত্রেও একটি উজ্জ্বল নাম। বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে তাঁর পৃষ্ঠপোষকতা ও দানের টাকায় গড়ে উঠেছে কয়েকশো আবাসিক মিশন স্কুল। সেখান থেকে পড়াশোনা করে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, শিক্ষক-সহ বিভিন্ন পেশাজগতে পা রাখছে বাঙালি মুসলিম ছেলেমেয়েরা।
শিক্ষার পাশাপাশি স্বাস্থ্য জগতেও আলো ছড়াচ্ছেন তিনি। মোস্তাক হোসেনের পৃষ্ঠপোষকতায় ১৪ বছর আগে প্রতিষ্ঠা হয়েছিল জিডি হাসপাতালের। জাতীয় পর্যায়েও এর আগে পুরস্কৃত হয়েছে এই হাসপাতাল। স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ‘হাঁটো বাংলা হাঁটো’ প্রচার ক্যাম্পেন বাংলার সমাজে বিশেষ সাড়া ফেলেছে। স্বল্প খরচে চিকিৎসা পরিষেবার নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠেছে জিডি হাসপাতাল।
মোস্তাক হোসেনের কন্যা তথা জিডি হাসপাতালের সিইও ডা. মুশরেফা হোসেনও আপ্লুত এই পুরস্কার পেয়ে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পুরস্কারপ্রাপ্তির খবরটি তিনি সবার সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন। তাঁর মতে, গুণমানসম্পন্ন চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়াই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। ভালো চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়া প্রত্যেক মানুষের অধিকার বলে তিনি মনে করেন। আর সেই পথ ধরেই এসেছে এই সাফল্য।