গাজা, ১৪ জুন: ৮ মাসেরও বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। যায়নবাদী আগ্রাসনে ভেঙে পড়েছে গাজার স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও অর্থনীতি। অবরুদ্ধ ভূখণ্ডটিতে তীব্র মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে, গাজ এখন বসবাসের অযোগ্য এক স্থান। এমনই জানিয়েছেন ফিলিস্তিনে নিযুক্ত রাষ্ট্রসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ। উপকূলীয় এই ভূখণ্ডটি একসময় ‘প্রাণবন্ত শহর’ ছিল বলেও মন্তব্য করেছে সংস্থাটি। উপকূলীয় গাজা উপত্যকা একসময় ‘প্রাণবন্ত শহর’ ছিল বলে মন্তব্য করেছেন ইউএনআরডব্লিউএ-র প্রধান ফিলিপ লাজারিনি। এক্সে এক পোস্টে এই বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি গাজার উত্তরাঞ্চলে ধ্বংসযজ্ঞের ভিডিয়ো ফুটেজও পোস্ট করেছেন তিনি। ফিলিপ লাজারিনি বলেছেন, ‘সীমাহীন ধ্বংসযজ্ঞ এবং জনশূন্যতার মাধ্যমে গাজাকে বসবাসের অযোগ্য করে ফেলা হয়েছে।’ এদিকে গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরাইলি হামলায় মোট নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩৭ হাজার ২৩২ জনে। গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব পাস সত্ত্বেও ইসরাইল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার গণহত্যা অব্যাহত রেখেছে। রাষ্ট্রসংঘের মতে, ইসরাইলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি ও ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। অবরুদ্ধ গাজার ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।